Site icon Doinik Bangla News

আগামী জানুয়ারি থেকে ১০ আঙুলের ছাপ নিবে ইসি

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন করীর খোন্দকার বলেছেন, হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ীই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে যারা ১০ আঙুলের ছাপ দেননি, আগামী জানুয়ারি থেকে তাদের ১০ আঙুলের ছাপ নেয়া হবে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের ত্রৈমাসিক সভায় তিনি একথা বলেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব কর্মকর্তাদের ভোটার তালিকা হালনাগাদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দেন।

হুমায়ুন করীর জানান, যারা স্মার্টকার্ড নিয়েছেন তারা ১০ আঙুলের ছাপ দিয়েছেন। যারা দেননি, আগামী বছরের প্রথম দিকে তাদের দশ আঙুলের ছাপ নেওয়া শুরু হবে।

তিনি বলেন, আমরা যেহেতু আগামী ভোট (জাতীয় নির্বাচন) আরও সুন্দর করতে চাই, এ কারণে আমরা প্রিঙ্গার প্রিন্ট আপডেট করবো। আমরা কমিশনের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা করছি। চলমান হালনাগাদ শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের (আগামী বছরের ২ মার্চ) পরপরই এই কার্যক্রমে যাবো। এই ভোটার তালিকা ধরেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোট হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের সেবার গতি আরও বাড়াতে হবে, না হলে নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ১০ আঙুলের ছাপ ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়া যাবে না।

একেএম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘যারা নতুন ভোটার- তাদের পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি’র সার্টিফিকেট, প্রয়োজনে জন্ম নিবন্ধন দেখে নিচ্ছি যাতে ভুল না হয়। একটি বিষয় সতর্ক থাকতে বলবো। যারা বয়স্ক ব্যক্তি তাদের যেন সচেতনভাবে যাচাই-বাছাই করে ভোটার করা হয়। ঢাকায় নানা ধরণের মানুষ বসবাস করেন। পরিপূর্ণ তথ্য না দিলে কাউকে ভোটার করবেন না।

তিনি বলেন, যদি একেবারে নতুন ভোটার হয় তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সনদ তো রয়েছে। সেটা ফলো করতে হবে। ওয়ারিশান সনদটা ভালো করে দেখে নিয়েন। যেন ছোট ভাই বড় না হয়ে যান। এসব বিষয় খেয়াল রাখবেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রবাসীদের জন্য সব সময় অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তাদের জন্য একটা পৃথক ডেস্ক খুলেছি। তার অর্থ এই নয়, রোহিঙ্গার দ্বিতীয় জেনারেশনের সৌদি আরব থেকে যেন এসে ভোটার হয়ে যাবে।

নতুন ভোটার আবেদন এবং এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে কি ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তা নিয়ে কথা বলেন ঢাকা অঞ্চলের কর্মকর্তারা। কথা বলেন ইভিএম নিয়েও।

ইসি সচিব জানান, রোহিঙ্গাদের কেউ যাতে ভোটার হতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ আছে নির্বাচন কমিশন।

Exit mobile version