Site icon Doinik Bangla News

আজ শোকের দিন; বিনম্র শ্রদ্ধা হে বঙ্গবন্ধু

রথীন্দ্র রায় সোহাগ, স্টাফ রিপোর্টারঃ

” যতকাল রবে পদ্মা যমুনা
গৌরি মেঘনা বহমান,
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান। ”
১৫ই আগস্ট, বাঙালি জাতির জীবনে এক শোকাবহ ও কলংকিত দিন।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ৩২নং এ নিজ বাসভবনে কতিপয় বিপদগামী সেনা সদস্য হত্যা করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের ১৬ জন সদস্যকে। যার ফলে থেমে যায় বাংলাদেশের জনপথ, থেমে যায় দেশটির অগ্রগতি। এই ১৫ই আগস্ট বাঙালি জাতি তার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারানোর শোকে “জাতীয় শোক দিবস” পালন করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়ীতে বঙ্গবন্ধু ছাড়াও আরো নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল; পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী কামাল; ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসেন কর্নেল জামিলউদ্দীন, তিনিও তখন নিহত হন। ঐসময় পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা।
এই দিনটি বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে “জাতীয় শোক দিবস” হিসেবে পালন করে।
আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবনসহ বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সামাজিক সংগঠন গুলো শোকর‌্যালীতে অংশ গ্রহনসহ বিশেষ মুনাজাত ও কোরআন তিলাওয়াত করা হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে ধানমন্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর বনানীতে ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানানো হবে। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। এ সময় ফাতিহা পাঠ ও সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদানসহ বিশেষ মুনাজাত ও দোয়া মাহফিল হবে। বাদ জোহর সারা দেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে। বেতার ও টেলিভিশন শোক দিবসের অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।সারাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
১৫ই আগস্ট বাঙালি জাতির অত্যন্ত বেদনাদায়ক দিন, এইদিনে প্রত্যেকটি বাঙালির মনের কোনে যেন এই সুরটি বেজে ওঠে…

যদি রাত পোহালেই শোনা যেত
বঙ্গবন্ধু মরে নাই,
যদি রাজপথে ঐ মিছিল হতো
‘বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই ‘
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা।

Exit mobile version