ইশরাককে অনুসরণ করে সত্য স্বীকার করা উচিত বিএনপির

উদ্ধৃতি: বাংলা ইনসাইডারঃ- ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জীবনে একটি কলঙ্কময় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে কতিপয় উচ্চাভিলাষী বিশ্বাসঘাতক সেনা সদস্য স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। কিন্তু বিএনপি ১৫ আগস্টকে স্বীকার করে না বরং সেদিন তারা আমোদ প্রমোদে মেতে উঠে খালেদা জিয়ার কথিত জন্মদিন পালন করে। যা ইতিহাসের আরেক ন্যাক্কারজনক ঘটনা। যদিও নানা সমালোচনা এবং চতুমুখী চাপের কারণে দলটি ২০১৬ সাল থেকে ওই দিনে বেগম জিয়ার জন্মদিন পালন করছে না। কিন্তু দলটি একটি দিবসকে অবমূল্যায়ন করছে। তবে দেরিতে হলেও ১৫ আগস্টকে স্বীকার করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি ১৫ আগস্টকে ইতিহাসের একটি  ন্যাক্কারজনক ও কালো অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন। রোববার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে এক স্ট্যাটাসে এই কথা বলেন তিনি। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন এক নতুন প্রশ্নের উদয় হয়েছে তেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা।

নুরুল ইসলাম ভূইয়া নামের এক ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে ইশরাক হোসেনকে ধ্যনবাদ জানিয়েছেন তার সত্য কথার জন্য। একই সঙ্গে তিনি বিএনপির শুভবদ্ধির উদয় চেয়েছেন। হারুন আসাদ নামের আরেকজন লিখেছেন, দেরিতে হলে এই সত্যকে স্বীকার করা জন্য ইশরাক হোসেন ধন্যবাদ পাওয়ার দাবিদার। পাশাপাশি বিএনপির সিনিয়র নেতাদের উচিত ইশরাক হোসেনের কাছ থেকে শেখা এবং তাকে অনুসরণ করে এ সত্যকে মেনে নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া যে, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের একটি  ন্যাক্কারজনক ও কালো অধ্যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বঙ্গবন্ধু একজন রাজনীতিবিদ হলেও তিনি আমাদের জাতির পিতা। তাকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের একটি  ন্যাক্কারজনক ঘটনা। কিন্তু বড় পরিতাপের বিষয় হলো বিএনপি সেটা স্বীকার করে না। বরং দলটির চেয়ারপারসন ১৫ আগস্টকে কথিত জন্মদিন পালন করে আসছেন এবং তারা সেটা করছে ৭৫ এর খুনী চক্রকে খুশী করার জন্যে। এখন যখন ইশরাক হোসেন ১৫ আগস্টকে স্বীকার করেছেন তখন বিএনপির উচিত ইশরাককে অনুসরণ করে সত্য স্বীকার করা।

Leave a Reply