Site icon Doinik Bangla News

কুমিল্লায় বিজয় র‌্যালিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি  অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর)এই র‌্যালিটি  নগরীর  কান্দিরপাড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন সদর সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা  হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, বিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খানসহ আরো অনেকে।

১৬ ডিসেম্বর, রক্তস্নাত বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকী। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মাথা উচু করার দিন। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রাম করে বহু প্রাণ আর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এদিনে বীর বাঙালি ছিনিয়ে আনে বিজয়ের লাল সূর্য।

১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল সেটির উদয় ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।

বিজয়ের মহামুহুর্তটি সূচিত হয়েছিল আজকের এই দিনে। ৯১ হাজার ৫৪৯ পাকিস্তানি সৈন্য প্রকাশ্যে আত্মসমর্পণ করেছিল। ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী মিত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সর্বাধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিত্ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেছিলেন। দেনদরবার নয়, কারও দয়ার দানে নয়, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের পর নত মস্তকে পাকিস্তানি বাহিনী পরাজয় মেনে নেয়। পৃথিবীতে নতুন একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। আর এই বিজয়ের মহানায়ক হিসাবে যিনি ইতিহাসে চির অম্লান ও ভাস্বর হয়ে আছেন তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আনন্দ অনেকভাবেই আসতে পারে জীবনে। কিন্তু মাতৃভূমির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির জন্য প্রাণ উৎসর্গ  করা যুদ্ধজয়ের আনন্দের কোনো তুলনা হয় না। ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এই সবুজ দেশে ৫১ বছর আগে আজকের এই দিনে উদিত হয়েছিল বিজয়ের লাল সূর্য। মুক্তিপাগল বাঙালি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলো। যে সূর্য কিরণে লেগে ছিল রক্ত দিয়ে অর্জিত বিজয়ের রং। সেই রক্তের রং সবুজ বাংলায় মিশে তৈরি করেছিল লাল সবুজ পতাকা।

বিনম্র শ্রদ্ধা সেই বীর সন্তানদের, যাদের রক্তে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয়  স্বাধীন বাংলাদেশ।

Exit mobile version