Site icon Doinik Bangla News

কুসিক কাউন্সিলর ও সহযোগী হরিপদ সাহার জোড়া খুনের মামলার দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে নিহত’

স্টাফ রিপোর্টঃ কুমিল্লা  সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও কুসিকের ২ নম্বর প্যানেল মেয়র সৈয়দ মো. সোহেল ও সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে নগরীর সংরাইশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ দাবি করেছে। জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই পরিমল চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (২৮) ও ৫ নম্বর আসামি মো. সাজন (৩২)। নিহত সাব্বির নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে এবং সাজন নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই পরিমল চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার দুই আসামি নগরীর সংরাইশ ও নবগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে, এমন তথ্যে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে অংশ নেয় কোতোয়ালি মডেল থানা ও ডিবি পুলিশের একাধিক টিম। অভিযানকালে সংরাইশ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের বালু মহালের কাছে ডিবি ও থানা পুলিশের টিম পৌঁছালে আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। এ সময় আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক উভয়কে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের হাতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। তাদের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপ গান, তাজা গুলি ও গুলির বেশ কিছু খোসা জব্দ করেছে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সিসিটিভির ফুটেজে কাউন্সিলরের কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া হিট স্কোয়াডের যে ৬ জনের পরিচয় সনাক্তকরণের দাবি করা হয়েছিল ‘বন্দুক যুদ্ধে’ নিহত সাব্বির ও সাজন তাদের মধ্যে অন্যতম।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনয়ারুল আজিম জানান, এ হত্যা মলায় এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হচ্ছে, মো. সুমন, মো. মাসুম, আশিকুর রহমান রকি, আলম মিয়া ও জিসান মিয়া। এজাহারের বাইরের রাব্বি ইসলাম ওরফে অন্তু নামের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্তু সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কালো পোশাকে মুখোশপরা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। নিহত কাউন্সিলরের ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় সোমবার পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

Exit mobile version