কুসিক নির্বাচনে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছেন নগরবাসী

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঘোষণা দিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। এবার মাঠে আছেন পাঁচ মেয়র প্রার্থী। এদের মধ্যে আলোচনায় আছেন হেভিওয়েট তিন প্রার্থী। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, বিএনপির সাবেক নেতা ও সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার। নগরবাসী এই তিন প্রার্থীর মধ্যেই নির্বাচনের মূল লড়াই দেখছেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মী এবং সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের আস্থাভাজন আরফানুল হক রিফাত। ভোটের মাঠে এমপি বাহারের সাংগঠনিক অবস্থাই রিফাতের পুঁজি। তাই এমপি বাহার নিজেই নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে মাঠে নামাচ্ছেন।
এদিকে, বিএনপি নেতা মেয়র মনিরুল হক সাক্কু গত দুইবারের মেয়র। যে কারণে ভোটারদের সঙ্গে তার পরিচিতি রয়েছে। যেহেতু তিনি সরকারি দলের বিরুদ্ধে দুবার ভোট পেয়েছেন, তাই তার গ্রহণযোগ্যতাও ভিন্ন।
অন্যদিকে হেভিওয়েট তরুণ প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা। এছাড়া তিনি দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিনের আত্মীয়। এ হিসাবে আওয়ামী লীগ বিরোধীদের একটি বড় অংশ সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা সাক্কুকে ছেড়ে তার সমর্থনে রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরান সরে যাওয়ায় তার ভোটের একটি অংশও কায়সার পাবেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
তবে কে বসতে চলেছে কুসিকের মসনদে, এ বিষয়ে ভোটারদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। চলছে আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনা।
ভোটযুদ্ধ নিয়ে আরফানুল হক রিফাত বলেন, বর্তমানের আওয়ামী লীগ আগের থেকে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ড থেকে আমাকে সমর্থন দিয়েছেন নেতাকর্মীরা। সুতরাং জয়ের বিষয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী।
এদিকে নিজের কাজের ওপর ভরসা রাখছেন সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। তিনি বলেন, কুমিল্লার জন্য কি করেছি মানুষ তা জানে। মানুষের ভালোবাসায় দুইবার মেয়র হয়েছি। এবারও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নগরবাসী আমাকেই বেছে নেবে।
অন্যদিকে রিফাত ও সাক্কুকে একই ব্যক্তির লোক বলে অভিযোগ করেছেন তরুণ মুখ নিজাম উদ্দিন কায়সার। তিনি বলেন, মানুষ জানে সাক্কু-রিফাত একই নেতার লোক। তাই পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়েই নির্বাচন করছি। কুমিল্লার মানুষও মুক্তি চায়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে কুসিকের ভোটের মাঠে পাঁচ জন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply