Site icon Doinik Bangla News

খুব দ্রুত তিস্তা চুক্তি হবে আশা করছিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল বলে অভিহিত করে আশা প্রকাশ করছেন, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সমাধান করা অন্যান্য অনেক সমস্যার মতোই তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তিসহ সকল অমীমাংসিত সমস্যা শিগগিরই সমাধান হবে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) হায়দারাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার ভারতীয় প্রতিপক্ষের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি পুনর্ব্যক্ত করেছি যে, ভারত-বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঘনিষ্ঠতম প্রতিবেশী। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।’ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত সাতটি সমঝোতা স্মারক বিনিময় প্রত্যক্ষ করার পর জারি করা এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, গত এক দশকে উভয় দেশই বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি আরও বলেন, দু’টি দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক অমীমাংসীত ইস্যু সমাধান করেছে। আমরা অবিলম্বে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর করাসহ সকল অমীমাংসীত ইস্যুর সমাধান আশা করছি।’

দুই দেশের মধ্যে কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টন নিয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিসহ ৫৪টি অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টনের মতো সব সমস্যার সমাধান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ও তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদি আরেক দফা ফলপ্রসূ আলোচনা শেষ করেছেন এবং এর ফলাফল উভয় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। তিনি বলেন, আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে বৈঠক করেছি। আগামী দিনগুলিতে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আমরা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি আরও বলেন, আলোচনার সময় তারা অঙ্গীকার বাস্তবায়নের সম্ভাব্য উপায়গুলি সম্পর্কে এবং পারস্পরিক কল্যাণের লক্ষ্যে একে অপরের অগ্রাধিকারগুলিকে গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সংযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, সীমানা এবং লাইন অব ক্রেডিট সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি।’

তিনি উল্লেখ করেছেন যে, গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব তৈরি করে উভয় দেশ পারস্পরিক স্বার্থে ক্রমবর্ধমান ব্যাপক বিষয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘আমি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং আমাদের দুই দেশে ও এ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত যদি অংশীদার হিসেবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, তাহলে এটি শুধু দেশগুলোর জন্যই নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫৪টি অভিন্ন নদী এবং চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত বেষ্টিত বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত কল্যাণে বদ্ধপরিকর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, যা প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অধিকতর গতি সঞ্চার করে চলেছে। তিনি ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উপলক্ষে বছরব্যাপী উদযাপন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর সফল সমাপ্তির জন্য ভারত সরকার এবং এর জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সূত্র : বাসস

Exit mobile version