Site icon Doinik Bangla News

পোশাকে বসন্ত ফুল

এলো বনান্তে পাগল বসন্ত।
বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রে, চঞ্চল তরুণ দুরন্ত।
বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর,
পান্ডু-কপোলে জাগে রং নব অনুরাগে
রাঙা হল ধূসর দিগন্ত।
—কাজী নজরুল ইসলাম

চারপাশ এখন এই কবিতার কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। ফুলে ফুলে ভরা চারপাশ। পোশাকেও দেখা যাচ্ছে ফুলেল নকশা। ডিজাইনাররা এ সময়ের প্রকৃতিকে তুলে ধরছেন পোশাকের নকশায়। শুধু নকশার জন্য তিনজন তরুণ ডিজাইনার পোশাকের নকশা করলেন বসন্তের ফুল দিয়ে। ডিজাইনার
ফারাহ দিবা, আফসানা ফেরদৌসী ও রিফাত রেজার করা পোশাকে উঠে এসেছে শিমুল, বাগানবিলাস ও মাধবীলতার ফুলেল নকশা।

টপে বিলাসিতার মতোই যেন ফুটে আছে ফুলগুলো। সেভাবেই আফসানা ফেরদৌসী নকশা করেছেন পোশাকের। তিনি জানালেন, বাগানবিলাস অনেক সুন্দর ও মন ভালো করে দেওয়ার মতো একটি ফুল। বছরের বেশ খানিকটা সময় ধরেই এই ফুল চোখে পড়ে। তবে বসন্তে এর সৌন্দর্য ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়।

আফসানা ফেরদৌসী বলেন, ‘প্রত্যেক মেয়ের সৌন্দর্যই এই ফুলের মতো। সব সময় তার মধ্যেই থাকে। কখনো বেশি প্রাণবন্ত, কখনো বা একটু কম।’ সাদা শাড়ি দিয়ে বানিয়েছেন পুরো পোশাক।

শাড়ির আঁচলে থোকা থোকা হয়েই যেন ফুটে আছে মাধবীলতা। আঁকার সময় এই চিন্তাই প্রভাবিত করেছিল ডিজাইনার রিফাত রেজাকে। দল বেঁধে এক জায়গায় মাধবীলতার ফুটে থাকার বিষয়টি শাড়ির আঁচলে তুলে ধরেছেন। মসলিনের শাড়িতে খাদির পাড় লাগিয়েছেন। কাটওয়ার্ক তাঁর নকশার মূল বিশেষত্ব। ব্লাউজের হাতায় মাধবীলতা আছে সেই কায়দায়। রিফাত রেজা জানান, মাধবীলতা ফুলের রং বেশ মিষ্টি। সতেজ ও প্রানোচ্ছল এই ফুলটি মন ভালো করে দেয় এই সময়।

শিমুল ফুলের ছোঁয়া ফারাহ দিবার কামিজে। সাদা খাদির ওপর আছে হ্যান্ডপেইন্ট ও প্যাচওয়ার্কের কাজ। জানালেন, জীবনে প্রথমবার রং তুলিতে নকশা এঁকেছেন। পোশাকের কাটছাঁটে এখন লেয়ারিং জনপ্রিয়। সেই ধারায় সেমিজের ওপর জ্যাকেট, সঙ্গে সালোয়ার। সেমিজের ওপর শিমুল ফুল ফুটে আছে নিজ মহিমায়। জ্যাকেটে প্যাচওয়ার্ক। ফারাহ দিবা মূলত পোশাকের কাটছাঁট নিয়ে কাজ করতে বেশি পছন্দ করেন। এখানেও শিমুলের আবহ ফুটিয়ে তুলেছেন প্যাটার্নভিত্তিক পোশাকে।

Exit mobile version