প্রশাসনের শীর্ষ যেসব পদ শূন্য হচ্ছে

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ শূন্য হচ্ছে। এ বছরের মধ্যেই বেশিরভাগ শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চাকরির বয়স শেষ হচ্ছে। কারও কারও চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। শূন্য হওয়া এসব পদে কে বা কারা আসছেন তা নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা থাকলেও তা নির্ভর করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সরকারের প্রশাসনের শীর্ষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। এই দুজনেরই দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এরমধ্যে বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। তিনি ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। তার চাকরির বয়স ৫৯ বছর শেষ হলে প্রথমে এক বছর, পরে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। খন্দকার আনোয়ার ১৯৮২ সালের বিসিএস বিশেষ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। বর্তমানে দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের চাকরির মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের বর্তমান বিকল্প নির্বাহী পরিচালক সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরে।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আলী আজমের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২ নভেম্বর। ইতোমধ্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়াকে। তাকে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর নতুন দায়িত্বে যোগ দেওয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে বিডার বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের। তিনি সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ বিদায় নিচ্ছেন।

এছাড়াও চলতি বছরের ডিসেম্বর এবং আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে প্রশাসনের আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা অর্থাৎ সচিব চাকরি থেকে অবসরে যাচ্ছেন। এরা হলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন,  যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী।

এদিকে এসব পদে কাদের নিয়োগ করা হচ্ছে বা কারা পাচ্ছেন এসব পদে পদায়নএ বিষয়ে সচিবালয়ের সর্বত্র আলোচনা চলছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এসব পদে পদায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, পদায়ন, বদলি প্রশাসনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এছাড়া সরকারি চাকরিবিধি অনুসারে নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলে চাকরি থেকে অবসরে যাবেন, এটিও একটি স্বাভাবিক নিয়ম। তবে এ বছরের মধ্যে সরকারের প্রশাসনের যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হবে সেসব পদে নিয়ম অনুসারেই পদায়ন করা হবে। যা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেবেন।  

Leave a Reply