Site icon Doinik Bangla News

ফালুর কাছেই সিন্দুকের চাবি

উদ্ধৃতি বাংলা ইনসাইডারঃ বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। এটি নিয়ে বিএনপি এবং বেগম জিয়ার পরিবারের মধ্যে যত না চিন্তা-উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে উদ্বিগ্ন বেগম খালেদা জিয়ার যে বিপুল পরিমাণ সম্পদ সে সম্পদের কাগজপত্র এবং তথ্যাদি কার কাছে রয়েছে। বিএনপির চেয়েও বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের মধ্যে এ নিয়ে এখন ঝড় বয়ে যাচ্ছে। একদিকে রয়েছেন তারেক জিয়া এবং তার স্ত্রী জোবায়দা, অন্যদিকে প্রয়াত কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা সিঁথি। দুইজনই বেগম খালেদা জিয়ার গুপ্তধনের সন্ধানে মাঠে নেমেছেন। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়ার ভাই এবং বোনরাও খোঁজ নিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়ার আসলে কত সম্পত্তি আছে এবং সেগুলো কোথায় কিভাবে আছে। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এই সম্পদের মালিকানা কে কিভাবে নিবেন, এ নিয়েও বিভিন্নভাবে চেষ্টা তদবির করছেন বেগম জিয়া পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরা। একাধিক সূত্র বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার দেশের বাইরে যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি সেই সম্পত্তির সব হিসেব-নিকেশ আছে তার সাবেক একান্ত সচিব ব্যক্তিগত কর্মচারী মোসাদ্দেক আলী ফালুর কাছে। ফালু এখন সৌদি আরবে অবস্থান করছেন, একটি দুর্নীতির মামলা থেকে নিজেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে তিনি স্থায়ীভাবে সৌদি আরবে বসবাস করছেন।

১৯৯১ সাল থেকেই মোসাদ্দেক আলী ফালু বেগম খালেদা জিয়ার কেয়ারটেকার হিসেবে পরিচিত এবং বেগম খালেদা জিয়ার অবৈধ অর্থ সবগুলোই ফালুর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। ফালুর যে বিত্ত-বৈভব, ফুলে-ফেঁপে ওঠা, দেশে যে শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য ব্যবসা সবকিছুই বেগম খালেদা জিয়ার অর্থে। এই সমস্ত সম্পদের অঘোষিত মালিক বেগম খালেদা জিয়া, এমন কথাটি অনেকে বলে থাকেন। আর সে কারণেই এই সম্পত্তিগুলোর ভাগবাটোয়ারা বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর কিভাবে হবে, তা নিয়ে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা নানামুখী আলাপ-আলোচনা করে থাকেন। তবে কাগজে-কলমে বেগম খালেদা জিয়া ফালুর কোনো সম্পত্তিরই মালিক না। কাগজে-কলমে সব সম্পত্তির মালিক ফালু। কাজেই এই সম্পত্তি যদি বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ না দেন তাহলে ফালু কাউকে দেবেন, এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। যেমন- ফালুর অনেকগুলো ব্যবসার সঙ্গে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ছিলো এবং বেগম জিয়ার নির্দেশেই কোকোকে এসব ব্যবসার অংশীদার করা হয়েছিলো। কিন্তু তারেক জিয়ার সঙ্গে যেহেতু ফালুর সম্পর্ক ভালো ছিলো না কখনোই সেজন্য তারেক জিয়া ফালুর কোনো সম্পদের হদিসই জানেন না।

Exit mobile version