বিপুল পরিমান জাল নোটসহ গ্রেফতার ৩

ক্রাইম রিপোর্টঃ রাজধানীর তেজগাঁও ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এ জাল নোট উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে।

পুলিশ জানায়, ‘চক্রটির প্রধান মজিবুর রহমান। দীর্ঘ এক যুগ ধরে তিনি জাল নোটের কারবারে জড়িত। তার মতে জাল নোটের কারবারিরা বিভিন্ন কোম্পানিতে ভাগ হয়ে কাজ করে। তিনি নিজেও একটি কোম্পানির মালিক। সারা দেশে এ রকম কোম্পানি আছে ১০ থেকে ১৫টি। মাসে প্রতিটি কোম্পানি ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছাড়ে।
‘জাল নোটের কোম্পানিগুলো আবার কয়েকটি স্তরে ভাগ হয়ে কাজ করে। কারখানায় কাজ করে তিন ধরনের লোক। যাদের কাজ কাগজ বানানো, প্রিন্ট ও কাটিং করা। মর্কেটিং বিভাগের মাধ্যমেই মূলত পাইকারি ও খুচরা কারবারির হাত হয়ে জাল টাকার নোট ছড়িয়ে পড়ে বাজারে।’
পুলিশ আরো বলছে, বিভিন্ন উৎসব সামনে রেখে জাল নোটের কারবারিরা সরব হলেও বছরব্যাপী চলতে থাকে টাকা ছাপানোর কাজ।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুনুর রশীদ বলেন, তারা প্রতিদিন ১০ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকার জাল নোট তৈরি করে। এদের কাছ থেকে আবার একটি শ্রেণি আছে যারা এ জাল নোটের মার্কেটিং করে। মার্কেটিং করা লোকজন এ নোট কিনে নিয়ে যায়। সাধারণত প্রতি লাখ টাকার জাল নোট বিক্রি হয় ১০ হাজার টাকায়। এরপর মার্কেটিং চক্রটি ওই এক লাখ জাল নোট আবার ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন উৎসবে যখন কেনাকাটার সময় হয়, তখনই জাল নোট বাজারে ছাড়া হয়। মার্কেটিং কোম্পানিগুলো গরুর হাট, পূজা বা ঈদে কেনাকাটার জন্য খরচ করে। এভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট ছড়িয়ে যায়। আমরা এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছি। তারা স্বীকার করেছেন যে, তারা বহুদিন ধরে এভাবে জাল নোট তৈরি করে বাজারে ছেড়েছেন।

জাল নোটের বিপদ এড়াতে ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট লেনদেনের সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ এ কর্মকর্তার।

Leave a Reply