বুলুর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিএনপির মিছিলে লাঠিচার্জ, আহত ৮

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ওপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বের করা বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

ঘটনাস্থল থেকে যুবদল ও ছাত্রদলের তিন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. সজীব (৩৮), মোর্শেদ আলম (৩৮) ও মো. শিমুল (২৬)।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বড় পোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, “বিএনপির কর্মীরা রাতে আকস্মিক একটি মিছিল বের করেন। তবে ওই সময় লাঠিচার্জের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মিছিলটি থেকে শহরে নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় মিছিলকারীদের ধাওয়া করে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাস বলেন, “বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রী শামীমা বরকত লাকির ওপর হামলার প্রতিবাদে রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা চৌমুহনী গণমিলনায়তনের সামনে থেকে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলেন। মিছিলটি চৌমুহনী বড় পোল এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বিনা কারণে পেছন থেকে এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মফিজুর রহমান ওরফে দিপুসহ আট নেতা-কর্মী আহত হন। আটক করা হয় যুবদল ও ছাত্রদলের ৩ কর্মীকে।”

এর আগে নিজ এলাকা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে শনিবার বিকেলে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার এলাকায় হামলার শিকার হন বরকত উল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রী।

বরকত উল্লাহ বুলুর দাবি, বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে গাড়ি নষ্ট হলে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের সীমান্ত এলাকা বিপুলাসার বাজারে নামেন বুলু। সেখানে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে চা পান করছিলেন। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালান। এতে তার মাথা ফেটে যায়। হামলায় তার স্ত্রীসহ ছয় জন আহত হয়েছেন।

Leave a Reply