Site icon Doinik Bangla News

“ভালো না বাসার ২৭ বছর”

বিনোদন ডেস্কঃ
না হলুদ/না মেহেদী/না কোন বিয়ের গহনা শাড়ী/না কোন মেহমান,গানবাদ্য! এমন কি নিজেরাও সেদিন নানান উৎকন্ঠায় সারাদিন কিছু খাইনি! বোকা বয়সের,বোকা সিদ্ধান্তে,আকাশ সমান বোকা করে দিয়েছিল দুজনকেই‼️
চারপাশের স্বজনদের তিরস্কারে/অভিযোগে/আক্রোশে থেমে গেলাম আমরা।হিসাব করে কিছু করার বুদ্ধি/বয়স ছিল না! সেই হিসাব করলে কি, সারা পৃথিবীর সব মানুষ একদিকে রেখে কেউ অনিশ্চিত একটা পথ বেছে নেয়⁉️
সেই দুর্বার কাছে আসার দিন থেকে ভালবাসতে ভুলে গেলাম! মুখরা/আড্ডা প্রিয় আমরা নিশ্চুপ হয়ে গেলাম‼️
আমাদের অনেক কথা হয়েছে,নাটক-থিয়েটার/দেশ-রাজনীতি/চাল ডাল,বাসা ভাড়া,ভবিষ্যত নিয়ে, কিন্তু ভালবাসা নিয়ে একটি কথাও নয়!!অপরাধী সে ভালবাসাকে বাক্সবন্দী করে,
বাঁচতেই হবে-এমন পন করে কেবলই ছুটেছি দুজন‼️
অবর্ননীয় কাঁটা দুহাতে তুলে,ঘর বাঁধতে/বেঁচে থাকার জন্য! 😥
আমাদের মতের অমিল অনেক হয়েছে,কিন্তু মত বিরোধ হয়নি।সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে সংশয় হয়েছে অনেক,কিন্তু কখনো সংঘাত হয়নি!
প্রিয় সম্পর্ক গুলোর এত বেশী অবিশ্বাস্য নিষ্ঠুরতা আমাদের জন্য বরাদ্দ ছিল যে,আজ আর কোন অচেনা কিছুতেই চমকে উঠি না!😥
অবস্থা দৃষ্টে,আমাদের স্বপ্ন গুলো সব বদলে গেল!! অনেক সময় পারও হয়ে গেছে। কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল খাতা আঁকতে দিলে,তার মধ্যে চিঠিসহ ফেরত দেয়া/গল্প বা কবিতার বই উপহার দিলে,তার মধ্যে চ্যাপটা করা শুকনো গোলাপ ফুল দেয়া/চৈত্র সংক্রান্তির মেলায় এক টাকার শঙ্খের আংটি ভরা প্রেম দেয়া-এসবের কোনটাই আর কাছে আসার পর কোনদিন হয়নি‼️😥
বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় ফর্দে ফর্দে ভাগ করে দিতে হয়েছে ধর্য্য/শক্তি/সুন্দর যৌবনের উচ্ছ্বল সব আয়ু! আর অপেক্ষা করেছি, শক্তি নিয়ে নতুন করে বেঁচে উঠাবার‼️
এখন আমাদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকার কুৎসিত ব্যস্ততা কমেছে। এখন অনেক ভালবাসার সময় হয় আমাদের।
আমরা রোজ একই ঔষধের পাতা থেকে এসিডের ট্যাবলেট খাই/সুস্থ থাকার চিন্তায় খুব ভোরে হাঁটতে যাই। বাচ্চাদের স্কুল ব্যাগ কাঁধে আর দৌড়াতে হয় না বলে,চা খাওয়ার পরে,অনেকক্ষন কথা হয়। একই ব্যন্ডের কালার দিয়ে, উঁকি দেয়া সফেদ চুল ঢাকি। একই ডাক্তার দেখিয়ে চশমার পাওয়ার বদলায়। ক্লান্তি এসে দুজনের চোখের বসার গল্প করে দুজনায় হাসি……
তোমার আমার পথচলা এত ভয়ংকর না হলে,কুসুমে আঁকা স্বপ্ন গুলো কেমন হতো সেটা বলি‼️ মাঝে মাঝে দুজন কিছু না বলে খুব কাঁদি,এবং কিছু না বলার পরও আমরা দুজনায় জানি,আমরা কেন কাঁদছি!! আমাদের এখন ভালবাসার অনেক সময়,শুধু বেঁচে থাকার সময় বেশী রকম কমে গেছে!😥
২৭ বছর তবুও কেটে গেল,এ কংকর বিছানো পথে! দ্রোহ/ যুদ্ধে/প্রতিজ্ঞায়/মমতায়।কোন গিফট,কোন আনুষ্ঠানিকতা দরকার হয়নি।শুধু আমরা জানি আপন জন হীন হয়ে পড়ার এইদিন।
নিঃস্বতা অবধারিত হলে,সেটাকে উৎসব মনে করায় ভাল।তুমি এবং আমি ,২৭টা বছর,এ নিঃস্বতার উৎসব করি শক্তি ভরে………..‼️
সময় আমাদের দুজনার জীবনের কাংখিত গল্পটা নিষ্ঠুর ভাবে বদলে দিয়েছে! কিন্তু ভালবাসাটা বদলাতে পারেনি। যে ফুলের মালাটা গলায় পরা,এটাও ২৩ বছর পর,সন্তানদের উৎসাহে,উপহারে পরা!! তাতে কিছু ফারাক পরে নি।
২৬ বছর আগে রোজ মনে হতো,মরে যাই! এখন রোজ মনে হয়, অনেকদিন বেঁচে থাকি।কষ্টকর সেই পথটা রোজ দুজনে রোজই দেখে আসি! হোক আর্শীবাদহীন,তবুও এ পথচলা যেন থেমে না যায়।ভালবাসা টুকু যেন গতি না হারায় আমাদের, জীবনের শেষদিনেও…………‼️😥

শাহনাজ খুশি আপার ফেসবুক ওয়াল থেকে-

Exit mobile version