আজ ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি শুরু

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে আজ বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশের ৮১১টি কেন্দ্রে ডিলারের মাধ্যমে চলমান ওএমএস কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করে ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হবে।

ওএমএসের আওতায় সরকার ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করবে। এছাড়া টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল কিনতে পারবে।

একই সঙ্গে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজিমপুরে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সারা দেশে ৮১১টি থেকে ওএমএস কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করে মোট ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রের ডিলারদের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে সব কেন্দ্রেই চাল বিক্রি করা হবে।

আটা বিক্রি হবে ৪০৩টি কেন্দ্রে। ঢাকা মহানগরের ৫০টি ট্রাক সেল ছাড়া অন্য সব কেন্দ্রে (২ হাজার ৩১৩টি) চালের বরাদ্দ ২ টন করে।

২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে দৈনিক চালের বরাদ্দ ৪ হাজার ৮০১ টন। ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে মাসিক (সর্বোচ্চ ২২ দিন ধরে) চালের বরাদ্দ এক লাখ ৫ হাজার ৬২২ টন।

৪০৩টি কেন্দ্রে মাসিক (সর্বোচ্চ ২২ দিন ধরে) আটার বরাদ্দ ৪ হাজার ৪৩৩ টন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে মোট ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারকে প্রতিমাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

এ কার্যক্রম সেপ্টেম্বর,অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ, এপ্রিল-এ ৫ মাস পরিচালিত হয়। সারা দেশে ডিলার সংখ্যা ১০ হাজার ১১০ জন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে প্রতিমাসে বিতরণ করা হবে এক লাখ ৫০ হাজার ৩১৫ টন চাল।

এদিকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা ওএমএস কেন্দ্রে এসে আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে চাল নিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, টিসিবি কার্ডধারীরা ওএমএসের মতো ন্যায্যমূল্যে চাল পাবেন। তাই কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল প্রদান করা হবে।

এদিকে ওএমএস ও টিসিবির কার্যক্রম সমন্বয়ে সংশ্লিষ্টদের ১২টি নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার ‘ওএমএস ও টিসিবির কার্যক্রম সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় প্রক্রিয়া’ নিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

পরিপত্র অনুযায়ী, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডে ওএমএসে ১৫ দিনে পাঁচ কেজি করে মাসে ১০ কেজি চাল মিলবে।

পরিপত্রে বলা হয়-ওএমএস কার্যক্রমে চাল বিক্রয় করার জন্য ক্রেতাদের দুটি আলাদা লাইন করতে হবে। একটি লাইনে সাধারণ ক্রেতা এবং অন্য লাইনে টিসিবির কার্ডধারীরা দাঁড়াবেন।

ডিলারের কাছে সংশ্লিষ্ট দিনের চালের বরাদ্দ শেষ হয়ে গেলে পরে আসার অনুরোধ জানাতে হবে। টিসিবির কার্ডধারীরা পাক্ষিক (১৫ দিনে) ৫ কেজি করে মাসে দুবার মোট ১০ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন।

টিসিবির কার্ডধারীকে চাল দেয়ার পর ওএমএস ডিলাররা টিসিবির কার্ডের পেছনে নমুনা সিল/পাঞ্চিং মেশিন দিয়ে কার্ডের ওপরে প্রতিবারের জন্য একটি ছিদ্র করে দেবেন। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন ডিলারের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক তদারকি কর্মকর্তা/ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করতে হবে।

Leave a Reply