এক সংগে দুই চাকরি করার অভিযোগে দুদকের মামলা

বাংলা নিউজ ডেস্ক: তথ্য গোপন করে একসঙ্গে দুই পদে থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব কানু কুমার নাথ (৫৮)। তার গ্রামের বাড়ি মীরসরাই উপজেলার কমলদহ ইউনিয়নের পাটুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

গত রোববার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

দুদক জানায়, কানু কুমার নাথ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি হেয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। একই সঙ্গে তিনি হাটহাজারীর ৩ নাম্বার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব। তার বিরুদ্ধে সরকারি কোষাগার থেকে ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ২৩৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব থাকা অবস্থায় তথ্য গোপন করে তিনি একটি কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা বাবদ টাকা তোলেন।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট দুদকের প্রধান কার্যালয় মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৯১ সালে কানু কুমার নাথ মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে যোগ দেন। পরে পূর্বের চাকরির তথ্য গোপন করে ১৯৯৪ সালে ৮ মে ফটিকছড়ি হেয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজের বাংলার প্রভাষক পদে যোগদান করেন।

২০০২ সালে তিনি ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। এ সময় তিনি নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন। ২০২১ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি কলেজ কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীণ তদন্তে দুই পদে চাকরির বিষয়ে সত্যতা পেয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এটা নিয়ে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি গঠিত করা হয়।

জেলা প্রশাসনের তদন্তে চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। এ সময় কানু কুমার নাথের বেতন স্কেল অবনতি করা হয়। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

Leave a Reply