এ কোন আওয়ামী লীগ..?

স্টাফ রিপোর্টঃ এ কোন আওয়ামী লীগ? এ কোন সঙ্কট এবং বিভক্তি দেখা যায় নেতা কর্মীদের মধ্যে? প্রায় ৭৫ বছর হয়েছে এই সংগঠনের জন্ম।জন্মের পর থেকেই এই সংগঠন নিজের বৈশিষ্ট্য ও নীতিমালায় অটল। এই রাজনৈতিক সংগঠনটির নেতৃত্বে এবং সংগঠন প্রধান বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক এই দেশটির।যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশটির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে দলটি।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর থেকে দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে দলটি।
এরপর ২০০১ সালে ক্ষমতা হারায়।
২০০৮ সালে আবার ক্ষমতায় আসে  এবং আজ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে।
কিন্তু এতবছর টানা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার পরও নিজ দলের মধ্যে প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং কেউ কাউকে পড়োয়া না করার রাজনীতি লক্ষ্য করা গেছে।
এমনই ঘটনা ঘটলো  চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে, দু’পক্ষই  হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। আহত হয়েছে পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন নেতাকর্মী। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়…
স্থানীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।এতে কচুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম এর অফিসসহ আশেপাশের দোকান ভাংচুর এবং কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম খলিল বাদল এর পৈতৃক প্রতিষ্ঠান সৌদিয়া হোটেল ভাংচুর হয়।উল্লেখ্য উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড.  সেলিম মাহমুদ এর অনুসারী এবং ইব্রাহিম খলিল বাদল স্থানীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এখন কথা হচ্ছে. এ কোন আওয়ামী লীগ.? যারা অভ্যন্তরীন কোন্দলে হামলা করছে,বিভিন্ন আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর হচ্ছে এবং ভাংচুর হচ্ছে,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। হয়তো
এই আওয়ামী লীগ দেখে নি নিজেদের দুঃসময়।এই আওয়ামী লীগ দেখেনি ২০০১ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা।২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত কিভাবে পদে পদে নির্যাতনের শিকার হয়েও রাজপথে থেকে অধিকার আদায়ের আন্দোলন সামিল থাকতে হয়।এত এত নির্যাতন, মামলা-হামলা, নেতাকর্মী হত্যার মধ্য দিয়েও সরব সব সময় রাজনৈতিক মাঠে সরব ছিলো আওয়ামী লীগ।

গত ১৫ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দলটি, জানে না বিরোধী দলে থেকে রাজনীতি করা কত কঠিন।তাইতো কথায় কথায় অবমূল্যায়ন হয় জাতির জনক  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, পোস্টার ব্যানার।
নিজের দলের লোকদের সাথে মতবিরোধ থাকতেই পারে তাই বলে,নিজ স্বার্থের জন্য অবমূল্যায়ন হবে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি কিংবা ম্যূরাল। ভাংচুর হবে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি..?
যাদের এসব কাজ করতে হাত কাঁপে না,বা দ্বিধাবোধ করে না।
তারা আর যাই হোক আওয়ামী লীগ হতে পারে না।

Leave a Reply