কুমিল্লায় ১ মাসে ৮ খুন, বেড়েছে অপরাধ

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লায় বেড়েছে খুন, ধর্ষন, ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ অন্যান্য অপরাধ। গতকাল মঙ্গলবার জেলার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় এসব তথ্য জানা যায়।

জেলা প্রশাসনের তথ্যে জানা গেছে, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত এক মাসে জেলায় ধর্ষনের অভিযোগে মামলা হয়েছে ১৮টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৪টি, খুন হয়েছে ৮টি, অপহরনের মামলা তিনটি, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে চারটি, চোরাচালান ১৫।
এর আগের মাসে ধর্ষনের মামলা ছিলো ১৩টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ছিলো ১১টি, খুন ছিলো ৬টি, অপহরন দুটি, ডাকাতির ঘটনা একটি, চোরাচালান মামলা হয়েছে ১১টি।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার জেলার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা হয়। সভায় এসব অপরাধ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। তথ্য বলছে, গত এক মাসে জেলায় চারটি ডাকাতি, তিনটি অপহরণ, আটটি খুন, ১৮টি ধর্ষন, ২৩ টি চুরি, ১৫টি চোরাচালানসহ ৪৪৬টি অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। আগের মাসে ছিলো ৩৯১টি।

জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জানানো হয়, গত এক মাসে ১৫৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে ৩৩১টি মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর আগের মাস জুলাইয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছিল ১৭৪টি। মামলা ছিল ৩৪৬টি এবং ২৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান রোধে গত এক মাসে জেলা টাস্কফোর্স ২০টি অভিযানে ৮৯ হাজার টাকার মালামাল জব্দ করে। জেলা পুলিশের ৩ হাজার ৪০৩ অভিযানে ১৬৭ মামলায় ২০৯ জন গ্রেপ্তার এবং ২০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়। বিজিবির ১ হাজার ৮৮৯ অভিযানে ১২৭ মামলা করা হয়। জব্দ করা হয় ৪ কোটি ৬২ লাখ ৩ হাজার ১১০ টাকার মালামাল। র‌্যাব-১১ গত এক মাসে ৩৮ অভিযানে ৩৮ মামলায় ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় দুকোটি ৩৮ লাখ ৩১ হাজার ৩২৭ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ১১৫ অভিযানে ৩৭টি মামলায় ৫৫জনকে আটক করে। এসময় ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকার মামামাল জব্দ করে। এ ছাড়া বন বিভাগ, কাস্টমস ও ভ্যাট কার্যালয় পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছে।

গতকালের জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এসময় কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, স্থানীয় সরকার বিভাগ কুমিল্লার উপ-পরিচালক অপর্না বৈদ্য, র‌্যাব-১১ এর ক্রাইম প্রিভেনশন-২ কোম্পানী অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, ডেপুটি জেলা সিভিল সার্জন নির্সগ মেরাজ চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply