ড.সেলিম মাহমুদ-এর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মজীবন:

রথীন্দ্র রায় সোহাগ (স্টাফ রিপোর্র্টার):

ড.সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা,কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নে মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম, তার পিতা রোস্তম আলী মিয়া চট্টগ্রাম বিভাগের (চট্টগ্রাম+সিলেট) পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রধান ছিলেন, যার নামে পালখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠিত এবং রত্নগর্ভা মা ছিলেন শাহজাদী বেগম। যার নামে কচুয়াতে শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হয়েছে। চার ভাই এবং এক বোন নিয়ে তাদের পরিবার,বড় ভাই জেলা জজ হিসেবে দায়িত্ব রত রয়েছেন, আরেক ভাই প্রবাসে থাকেন, আর এক ভাই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কর্মরত রয়েছেন।

ড.সেলিম মাহমুদ-এর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক এবং কর্মজীবন:

টীম লিডার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ডাটাবেস কার্যক্রম, সমন্বয়কারী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয় এবং সমন্বয়কারী, সকল নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত উপকমিটি (২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন), সদস্য, ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (২০১৮ জাতীয় নির্বাচন) সদস্য সচিব, গঠনতন্ত্র উপ কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (জাতীয় কাউন্সিল ২০২২)

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

যুক্তরাজ্যের ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্বালানি আইন ও পলিসি বিষয়ে পিএইচডি অর্জন।

পদ সমূহ:

সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ট্রাইবুনাল (২০১৬ – ২০১৯) (হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমমর্যাদা),

সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ট্রাইবুনাল (২০০৯ – ২০১৬ ) (হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমমর্যাদা),

সাবেক অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (২০২০ সালে স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ),

সাবেক শিক্ষক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক সহকারী প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯৮ -২০০১)

সাবেক পরিচালক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লি (২০১৩- ২০১৯)

পরিচালক, দি সিটি ব্যাংক লি (২০২০ – )

পরিচালক, সিটি হংকং লি পরিচালক, সিটি ব্রোকারেজ লি

বর্তমানে আইনজীবী, আরবিট্রেটর এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জ্বালানি বিষয়ক কনসালটেন্ট l

ছাত্র রাজনীতি:

প্রথম আইন বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র লীগ (১৯৯৪-১৯৯৫) l ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটের প্রেক্ষিতে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের পক্ষে স্যার স্টিফেন নিনিয়ান এর বিশেষ মিশন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কর্তৃক আওয়ামী লীগের চার সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ কমিটির সদস্য মনোনীত l

তিন দশকেরও বেশি সময় বিভিন্ন ক্যাপাসিটিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে কাজের অভিজ্ঞতা l

প্রতিষ্ঠাতা: পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজ।

২০০১ সালের নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সংগঠনসমূহের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সকল উপজেলায় পরিদর্শন কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রথম গবেষণা করেছিলেন ড۔ সেলিম মাহমুদ (১৯৯০- ৯১)

স্বাধীনতার ঘোষণা বিষয়ে সাংবিধানিক ব্যাখ্যা এবং এই বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব (মার্চ ১৯৯৪)

নব্বইয়ের দশকের প্রথম ভাগে খালেদা জিয়ার প্রথম সরকারের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্র ও গণআন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ l

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে রেকর্ড পরিমান মার্কস সহ এলএলবি সম্মানে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করলেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হওয়ার কারণে মাস্টার্স পরীক্ষায় দলীয়করণের অংশ হিসেবে তাকে অন্যায়ভাবে দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রথম ঘোষণা করা হয় l এই ঘটনায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসির কাছে প্রতিবাদ করেছিলেন এবং এই অন্যায়ের প্রতিকার করার জন্য ভিসিকে অনুরোধ করেছিলেন l

এক এগারোর সরকারের সময় প্রথম বছর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুক্তি এবং অন্যান্য দাবীতে যুক্তরাজ্য থেকে অসাংবিধানিক সরকারের বিরুদ্ধে ইউরোপ এবং সমগ্র পশ্চিমা বিশ্বে প্রচারণা, জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও পরামর্শ গ্রহণ l

এক এগারোর দ্বিতীয় বছর, জ্বালানি আইন ও পলিসি বিষয়ে পিএইচডি শেষ হওয়ার সাথে সাথে দুইটি বিশ্ব মানের চাকুরীর অফার গ্রহণ না করে ঝুঁকি নিয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন l দেশে এসে নেত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের সাথে যুক্ত থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে অসাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থা থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন l এর অংশ হিসেবে তিনি সামরিক, বেসামরিক সহ নানা স্টেকহোল্ডারের সাথে যোগাযোগ রাখেন l ঐ সময়ে নেত্রী দেশে ফিরে তাকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনার মিডিয়া সেন্টারের সমন্বয়কারী মনোনীত করেন l দুইজন সমন্বয়কারীর আরেকজন ছিলেন প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিল l পরবর্তীতে সমন্বয়কারী হিসেবে কোঅপটেড হয়েছিলেন বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া l

Leave a Reply