Site icon Doinik Bangla News

নির্বাচনী হলফনামায় থাকতে হবে যেসব তথ্য

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি ভোট। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। কয়েকটি দলের মনোনয়নও চূড়ান্ত। পরবর্তী ধাপে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় গুরুত্বপূর্ণ ৮টি তথ্য উল্লেখ করতে হবে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) ইসির নির্বাচন পরিচালনা অধিশাখার উপসচিব আতিয়ুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এই ৮ নির্দেশনার বিষয়ে জানানো হয়।

ইসি জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১২ এর দফা (৩খ) অনুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামার মাধ্যমে ৮টি তথ্যের সপক্ষে কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। যা হলো-

১. প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটসহ উত্তীর্ণ পরীক্ষার নাম (এ ঘর খালি রাখা যাবে না, কোনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলে নিরক্ষর, স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন, প্রাসঙ্গিক তথ্য উল্লেখ করতে হবে। তবে বাস্তবে এমনও হতে পারে যে সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট কোনও প্রার্থীর কাছে নেই। সেক্ষেত্রে সর্বশেষ যোগ্যতা এমএ, কিন্তু সময়াভাবে তা সংগ্রহ করতে না পারায় বিএ পাসের সার্টিফিকেট সংযুক্ত করা হলো-এভাবেও তথ্য দেয়া যেতে পারে)

২. বর্তমানে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা আছে কি না, এ সংক্রান্ত সঠিক তথ্য দিতে হবে।

৩. অতীতে প্রার্থীর বিরুদ্ধে দায়ের করা কোনও ফৌজদারি মামলার রেকর্ড আছে কি না, থাকলে তার রায় কি ছিল?

৪. পেশার বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে।

৫. আয়ের উৎস বা উৎসসমূহ: আয়কর রিটার্ন এবং মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রদত্ত অনুরূপ তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সমীচীন।

৬. প্রার্থীর নিজের ও অন্যান্য নির্ভরশীলদের পরিসম্পদ ও দায়-এর বিবরণী

৭. ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন কি না এবং থাকলে ভোটারদের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এবং এর কি পরিমাণ অর্জন সম্ভব হয়েছিল এ সংক্রান্ত তথ্যাদি।

৮. প্রার্থী কর্তৃক কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে একক বা যৌথভাবে কিংবা প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীল সদস্য কর্তৃক গৃহীত ঋণের পরিমাণ অথবা কোনও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা পরিচালক হওয়ার সুবাদে ওই সব প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণের পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্যও সঠিকভাবে দিতে হবে।

Exit mobile version