Site icon Doinik Bangla News

বঙ্গবন্ধুর খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। আমরা বারবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং জাতির পিতার খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দেশটির কাছে অনুরোধ করছি।

স্থানীয় সময় শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির একটি হোটেলে আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতাকর্মী ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর-বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী খুনিদের আশ্রয় দেওয়া সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের কথা বলে।

তিনি বলেন, খুনিরা এমনকি চার বছরের শিশু ও নারীদেরও রেহাই দেয়নি। সামরিক স্বৈরশাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দায়মুক্তির সংস্কৃতির রাজনীতির সূচনা করেছিলেন।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, কিছু সংস্থা বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছে এবং দুই ভারতীয়র নাম অন্তর্ভুক্ত করে একটি তালিকা (নিখোঁজের শিকার) দিয়েছে। কিন্তু তাদের এখন বিএনপির মিছিলে দেখা যাচ্ছে।

সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, আমাদের দ্বারা নির্মিত ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধার জন্য কিছু লোক প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যা খুশি বলছে। তিনি এ ধরনের লোকদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, মিথ্যা অভিযোগ এনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। কিছু বাংলাদেশি যারা বিভিন্ন অপরাধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এবং যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের স্বজনরা রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের পেছনে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত জোটের দ্বারা সংঘটিত অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে বিশ্বকে জানাতে আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ এর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চলেছে। দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিলেন। কিন্তু, আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ায় আঞ্চলিক ও স্থানীয় যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ এরই মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।

তিনি আবারও জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও সব ধরনের শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার করেন।

মার্কিন রাজনীতিবিদরা যখন সেদেশের ভোটের সময় অভিবাসী বাংলাদেশিদের কাছে ভোট চাইতে আসেন তখন যেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন, এ আহ্বানও জানান তিনি।

বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যে কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে পাসপোর্ট ব্যবহার করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।

Exit mobile version