রাজধানীতে গ্রেফতার কিশোর গ্যাংয়ের ৪৩ সদস্য

বাংলা নি্উজ ডেস্কঃ রাজধানীতে জনজীবন অতিষ্ঠকারী কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৪৩ জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-২।

র‍্যাব জানায়, গ্রেফতার কিশোর গ্যাং সদস্যরা পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মো. ফজলুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির প্রবণতা বেড়েছে। এ বিষয়ে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা রুজু হয়। সাধারণ মানুষ ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। এতে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এছাড়া পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীবাসী বিভিন্ন এলাকায় চলাচলকালে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। নারী, পুরুষ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী নির্বিশেষে সবাইকে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হচ্ছে। এরই পরিপেক্ষিতে র‍্যাব-২ এই চক্রের ওপর গোয়েন্দা নজরধারি বাড়ায়।

র‍্যাব-২ এর এই কর্মকর্তা বলেন, গতকাল বুধবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-২ জানতে পারে সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে দেশীয় অস্ত্রসহ প্রস্তুতি নিয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-২ এর একাধিক আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, শেরেবাংলা নগর ও তেজগাঁও এলাকায় ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে ৪৩ জন বিভিন্ন গ্রুপের সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করে।

এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু, খুর ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।

গ্রেফতাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানেও পথচারীদের একা পেয়ে আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এএসপি মো. ফজলুল হক বলেন, ছিনতাই ও ডাকাতি ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের কারবার, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি ও স্থানীয় ভূমিদস্যুদের পক্ষে দখলি জমিতে গিয়ে পেশিশক্তির মহড়া প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।

এছাড়া চক্রের সদস্যরা নিজেদের গ্রুপের আধিপত্য বজায় রাখতে অন্য কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে মারামারিসহ বিভিন্ন সশস্ত্র সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সময়েও র‍্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

Leave a Reply