Site icon Doinik Bangla News

‘স্বশাসিত পরিষদ’ চায় কেএনএফ, পৃথক রাজ্য নয়

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ অনেক আগে থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘স্বায়ত্তশাসিত পৃথক রাজ্য’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছিল কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। নয়টি উপজেলা নিয়ে তারা পৃথক রাজ্য গঠন করতে চাচ্ছিল। এবার সেই দাবি থেকে সরে এসেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র এ গোষ্ঠী। তারা ওই অঞ্চলের সাতটি উপজেলা নিয়ে ‘স্বশাসিত পরিষদ’ প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এসব দাবি জানায় কেএনএফ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ নামের একটি ফেসবুক পেজে দাবি সংবলিত পোস্টটি করা হয়।
পোস্টটিতে উল্লেখ করা হয়, কুকি-চিন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ নামে একটি পরিষদ গঠন করতে চায় তারা। যার মাধ্যমে ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখতে চায়। এছাড়া কুকি-চিন আর্মড ব্যাটালিয়ন (কেএবি) নামে একটি সশস্ত্র বাহিনী করার দাবিও জানাচ্ছে সংগঠনটি।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, ‘কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার। ভারতের মিজোরামে বসবাসরত বম জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের পালেতুয়া এলাকায় খুমি ও ম্রো জনগোষ্ঠীর লোকজনকে ফিরিয়ে আনা।’
এর আগে বান্দরবানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির দুই দফায় মুখোমুখি সংলাপ হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি তৃতীয় দফা সংলাপ হওয়ার কথা থাকলেও এর আগেই মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমায় ও বুধবার থানচিতে দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ব্যাংকে লুটপাট করা হয়।
তিন ব্যাংকে লুটপাট চালানোর পর অপহরণ করে নিয়ে যায় সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ম্যানেজারকে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাবের মধ্যস্থতায় রুমা বাজারে নেজাম উদ্দিন নামে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেও ওইদিনই রাতে দুই দফায় থানচি ও আলীকদমে সংগঠনটির পৃথক দুটি গ্রুপ চড়াও হয় পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের ওপর।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এ হামলার জন্য দায়ী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট।
এ পর্যন্ত কেএনএফের আকস্মিক এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পেছনে তাদের অর্থাভাবের বিষয়টিকেই মূল কারণ হিসেবে ধারণা করা হলেও নিজেদের ফেসবুক পেইজ থেকে শেষ পর্যন্ত ভিন্ন ইঙ্গিত দিলো পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটি।
এদিকে তিনটি ব্যাংকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা একসময় খুব শান্তিপ্রিয় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের মতো বড় ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে। এর আগেও এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে। এসব কার্যক্রম আমরা আন-চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবো না। এদের পেছনে কোনো ইন্ধন আছে কি না তা বের করে আনা হবে। ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Exit mobile version