হাথুরুর জন্যই ফেরা ‘চিরতরে বিদায়’ নেওয়া ম্যাথুসের

গুরুবাক্য শিরোধার্য। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসও মানেন সেটা। আবারও শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েই সেটার প্রমাণ দিলেন লঙ্কান অলরাউন্ডার।

ভারত সফরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া থিসারা পেরেরাকে গত সপ্তাহে বরখাস্ত করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। তবে শ্রীলঙ্কার সীমিত ওভারের দল কিন্তু বেশি দিন নেতৃত্বশূন্য থাকল না। এসএলসি কাল ‘নতুন’ অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিল পুরোনো অধিনায়ক ম্যাথুসকেই। শুধু বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় কিংবা টি-টোয়েন্টি সিরিজ নয়, শ্রীলঙ্কা বোর্ড ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব তুলে দিয়েছে ম্যাথুসের হাতে। ত্রিদেশীয় সিরিজের শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে দলের নামও ঘোষণা করা হয়েছে কাল।
ম্যাথুস শ্রীলঙ্কার অধিনায়কত্ব ‘চিরতরে’ ছেড়ে দিয়েছিলেন গত জুলাইতে। কিন্তু চন্ডিকা হাথুরুসিংহে শ্রীলঙ্কার কোচ হতেই পাল্টে গেলে ‘চিরতরে’র সংজ্ঞা। কেন পাল্টাল সেই ব্যাখ্যা, কাল আবার অধিনায়ক হয়েই দিলেন ম্যাথুস, ‘যখন ছেড়েছিলাম, ভেবেছি আর কখনোই অধিনায়ক হব না। কিন্তু ভারত সফর থেকে ফিরতেই (বোর্ড) প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে কথা বললেন। এ ছাড়া হাথু আইয়া (বড় ভাই) ও নির্বাচকেরাও আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, অনুরোধ করেছেন আবার অধিনায়কের দায়িত্ব নিতে। ভাবার জন্য কয়েক দিন সময় নিয়েছিলাম। বেশ কিছু কারণেই শেষ পর্যন্ত রাজি হলাম।’
কারণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় যে হাথুরুসিংহে, সেটা বলতেও ভোলেননি ৩০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার, ‘আমি হাথু আইয়াকে অনেক দিন ধরে চিনি। আমি জানি তিনি কীভাবে কাজ করেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করাটা খুব সহজ হবে। আমি যে আবার অধিনায়ক হতে রাজি হয়েছি, তাতে তাঁর বড় ভূমিকা আছে। অন্য দলগুলো পেতে মরিয়া এমন কাউকে কোচ হিসেবে পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার।’
হাথুরু কেমন কোচ তা ভালোই জানা ম্যাথুসের। ২০০৮ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে হাথুরু ছিলেন শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের কোচ। ওই দলে পারফর্ম করেই শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলে ঢোকার পথ করে নেন ম্যাথুস।
শ্রীলঙ্কানদের এখন একটাই চিন্তা, অধিনায়ককে পুরো সময়ের জন্য পাওয়া যাবে তো। গত দেড় বছরে শ্রীলঙ্কার খেলা ৩৯ ওয়ানডের ২০টিই ম্যাথুস খেলতে পারেননি পায়ের চোটের কারণে। হাথুরুসিংহে সেসব বিবেচনায় নিয়েই আস্থা রাখছেন ম্যাথুসে, ‘ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিতে সে-ই সবচেয়ে যোগ্য লোক। কারণ পারফরম্যান্সের কারণে দলে তার জায়গা পাকা। একমাত্র চিন্তা তার শারীরিক সুস্থতা নিয়ে। এ নিয়ে তাকে সাহায্য করতে আমাদের পরিকল্পনা আছে।’
ত্রিদেশীয় সিরিজের ১৬ সদস্যের শ্রীলঙ্কা দলে একেবারে নতুন মুখ পেসার শেহান মাদুশঙ্কা। ফিরেছেন দিনেশ চান্ডিমাল, কুশল মেন্ডিস ও ওয়ানিডু হাসারাঙ্গা। খুব জোরে বল করতে পারেন, এই বিবেচনাতেই সুযোগ পেয়েছেন মাত্র তিনটি করে প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলা মাদুশঙ্কা। ক্রিকইনফো।

ত্রিদেশীয় সিরিজের শ্রীলঙ্কা দল

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (অধিনায়ক), উপুল থারাঙ্গা, দানুস্কা গুনাতিলকা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, কুশল পেরেরা, থিসারা পেরেরা, আসেলা গুনারত্নে, নিরোশান ডিকভেলা, সুরঙ্গা লাকমল, নুয়ান প্রদীপ, দুষ্মন্ত চামিরা, শেহান মাদুশঙ্কা, আকিলা দনাঞ্জয়া, লক্ষ্মণ সান্দাকান ও ওয়ানিডু হাসারাঙ্গা

Leave a Reply