Site icon Doinik Bangla News

১১ মাসে কুমিল্লা ডিবি পুলিশের রেকর্ড সফলতা

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ ১১ মাসে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া  বলেন, , কুমিল্লায় পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান স্যারের নির্দেশে জেলার সাধারণ মানুষের জানমাল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ডিবি পুলিশ।

গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লায় ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও মাদকদ্রব্য জব্দসহ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন।

যে কোনো প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে ডিবি পুলিশ ভবিষ্যতে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে  এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাতে নিরলস ভাবে কাজ করবে বলে জানা্ন তিনি।

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া  বলেন. “আপনারা আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন, আমি যাতে আগের মতো কুমিল্লাবাসীর পাশে থেকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে পারি।”

কুমিল্লা একটি সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে এখানে খুন, ছিনতাই, বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানের মতো কাজ সংগঠিত হয় থাকে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাজেশ বড়ুয়া কুমিল্লায় যোগদানের পর থেকে এসব অপরাধ প্রবণতা কমে এসেছে। যার জন্য জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নানের কাছ থেকে তিনি একাধিক পুরস্কার লাভ করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গত ১১ মাসে অপরাধ দমনে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। জেলায় মাদক, ছিনতাই ও চোরাচালান ঠেকাতে মাঠে কাজ করছে ডিবি পুলিশ। এছাড়া হত্যা মামলাসহ গত ১১ মাসে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

গত ১১ মাসে শতাধিক মামলায় ৪৬৭ আসামিকে গ্রেফতার করাসহ  বিপুল পরিমাণ মাদক, জালনোট, ডলার, ভারত থেকে চোরাই পথে আসা শাড়ি-থ্রি-পিস এবং আরও অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়েছে বলে জেলা ডিবি সূত্রে জানা যায়।

জেলা ডিবি সূত্রে  আরো জানা যায়,, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ডিবি পুলিশের দায়ের করা মাদক মামলার আসামি ২৮২ জন, অস্ত্র মামলায় ২১ জন, ডাকাত দলের সদস্য ২৪, চোর ৩৯ জন ও অন্যান্য মামলায় ১০১ জনসহ মোট ৪৬৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ৮ জন ভুক্তভোগীকেও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ডিবির চৌকস অভিযানিক দল।

এছাড়া জব্দ করা করা হয়- দেশি-বিদেশি অগ্নেয়াস্ত্র ১৫টি, পিস্তলের গুলি ৫৮টি, ম্যাগজিন ৫টি, ইয়াবা ট্যাবলেট ৪৭ হাজার ৩৮১ পিস, ট্যাপেন্ডাটোল ট্যাবলেট ২৮ হাজার ৫৬০ পিস, গাঁজা ২ হাজার ৩৪০ কেজি, ফেনসিডিল ৩ হাজার ৩৬৫ বোতল, বিদেশি মদ ৫১৮ বোতল ও ইস্কাফ সিরাপ ৩৬২ বোতল।

উদ্ধার করা হয়, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত গাড়ি ৫০টি, চোরাই মোটর গাড়ি ৭০টি। আর চোরাচালান হিসেবে জব্দ করা হয়েছে- নগদ ১ কোটি ১৬ লাখ ৫০০ টাকা, স্বর্ণ ১০ ভরি ২ আনা, ইউএস ডলার ৫ হাজার ১১০ ডলার, জালনোট ১ লাখ টাকার, সরকারি বৈদ্যুতিক তার ২০০ কেজি ও দেশি প্রজাতির কাছিম ১৬টি। এছাড়াও বিভিন্ন থানা এলাকায় ডাকাতি, চুরি ও খুন মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে।

 

Exit mobile version