১১ ডিসেম্বর লাকসাম হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

১১ ডিসেম্বর লাকসাম হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে লাকসাম উপজেলা প্রশাসন এবং লাকসাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের যৌথ আয়োজনে এ অনুষ্ঠান হয়। দিবসটি স্মরণে স্থানীয় শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর লাকসামের আকাশে বিজয়ের নতুন সূর্য উদিত হয়। দীর্ঘ দখলদারিত্বের পর এদিন পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে লাকসাম পুরোপুরি মুক্ত হয়। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা–চট্টগ্রাম রেলরুটের মাঝামাঝি অবস্থিত লাকসাম রেলওয়ে জংশন ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর একটি কৌশলগত ঘাঁটি। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দখলদার বাহিনী বিভিন্ন জায়গা থেকে নিরীহ বাঙালিদের ধরে এনে এখানে নির্মমভাবে হত্যা করত। রেলওয়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত বহু গণকবর আজও সেই বর্বরতার সাক্ষ্য বহন করে, যা লাকসাম বধ্যভূমি নামে পরিচিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নার্গিস সুলতানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাকসাম থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদ আহাম্মদ এবং বৃহত্তর লাকসাম শাখার যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল বাশার

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন যুদ্ধকালীন প্লাটুন সহ-অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। তিনি তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, ত্যাগ ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, লাকসাম বধ্যভূমি শুধু লাকসামের নয়—সমগ্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের একটি বেদনাবিধুর অধ্যায়। শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আগামী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াই হবে আমাদের অঙ্গীকার।

Leave a Reply