পুরাতন চৌধুরী পাড়ায় ডেলুনী গলি থেকে সাংবাদিক ও আইন পরামর্শ সেবা কেন্দ্র স্বত্বাধিকারী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র ছিনতাইয়ের শিকার, কুমিল্লা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লা নগরীর চৌধুরী পাড়ার ডেলুনী বাড়ি গলিতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক ৮টায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র ছিনতাইকারীদের কবলে পরে মূল্যবান নথি, দলিল ও মেমোরি কার্ড ( মেমোরি কার্ডে  ধারণকৃত সাংবাদিকতার বিভিন্ন তথ্য, পূর্বের প্রকাশিত নিউজের আসামীদের নাম ছবি-ঠিকানা, বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন অপরাধের ভিডিও চিত্র, অডিও রেকর্ড  ও ভয়েস রেকর্ডিং) সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় নথিপত্রাদি খুইয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে অজ্ঞাত ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ছিনতাইকৃত আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধার এর জন্য কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের রেকর্ড নাম্বারঃ R-৯৭৪/২৪ তারিখ- ১৬/০২/২০২৪খ্রীঃ।

মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র কুমিল্লা জজ কোর্টের শিক্ষানবিশ আইনজীবী, মাসিক জাতীয় মানবাধিকার খরব এর কুমিল্লার ব্যুরো চীফ, দৈনিক বাংলা নিউজ অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, সরকার অনুমোদিত হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি- প্রেসিডেন্ট (সেন্ট্রাল কুমিল্লা জোন), বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনঃ কো- স্যোসাল ওয়েল ফেয়ার সেক্রেটারী (কুমিল্লা জেলা কমিটি), গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত  “বাংলাদেশ মানবাধিক ফাউন্ডেশন” (সহ-সভাপতি, কুমিল্লা আদর্শ সদর) সহ সমাজের বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক পেশা সহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত আছে।

মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র আরো-  আইন পরামর্শ  সেবা কেন্দ্র (সলিসিটর ফার্ম/ আইন উপদেষ্টা ফার্ম ) এবং মেসার্স  মওদুদ ভেরাইটিজ কনষ্টাকশন এর একক বানিজ্যিক স্বত্বাধিকারী হিসাবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজে নিয়োজিত আছেন।


কোতয়ালী মডেল থানায় বর্ণিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত- ১৪ ফেব্রয়ারী, ২০২৪ খ্রীঃ রাতে তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাসায় ফেরার পথে নগরীর ডেলুনী বাড়ি রোড ( কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড  নং-৪ ও ৫) মাঝখানে গলির পায়ে হেটে মাঝরাস্তায় পৌছিলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটর সাইকেলে থাকা অজ্ঞাতনামা ০২জন ছিনতাইকারী তাহার পথ গতিরোধ করে তার ডান হাতে থাকা ০১টি কালো ছোট মাঝারি সাইজের অফিস ব্যাগ টান দিয়া নিয়ে যায় এবং উক্ত অফিস ব্যাগের ভীতরে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অভিযোগে বর্ণিত সকল মালামাল ছিল। তাহার ডাকে কিছু পথচারী লোকজন এসে ঘটনা শুনেন। ঘটনার পর থেকে তিনি জড়িত অজ্ঞাতনামা দুইজন ছিনতাইকারীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্টা করেন। কিন্তু কারো নাম ঠিকানা তিনি সুনির্দিষ্ট ভাবে সনাক্ত করতে পারে নাই। উল্লেখ্য যে, উক্ত ডেলুনী বাড়ি রোডটি (কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড- ৪ ও ৫) এর মাঝখানে অবস্থিত হওয়ার কারনে ‍উক্ত ডেলুনী বাড়ির রোডটি সুনির্দিষ্ট ভাবে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড ৪ ও ৫ এর পুরোপুরি সুনির্দিষ্ট সীমানা কেন্দ্রিক জটিলতায় আছে।  তবে ইসলামপুরের ডেলুনি বাড়ি  সড়কটি পথের সিসি ক্যামেরা পয়েন্টে পয়েন্টে না থাকায় ও এলাকাটি সম্পূর্ণ  নিরিবিলি হওয়ার কারণে এই ডেলুনী বাড়ি সড়কের গলিটিতে বহু পূর্ব হতে এই গলির বাসার নিচে গ্যারেজ থেকে দিনে,দুপরে মোটর সাইকেল চুরি, ঘর চুরি, প্রকাশ্যে দিনে-দুপরে মুহুর্তের ভীতরে ছিনতাই ও নানাবিধ নাশকতা মূলক অপরাধও হয়ে আসছে।

উক্ত এলাকার গলির স্থায়ী বাসিন্দারা জানায়- এই ধরনের চুরি, ছিনতাই ও নানাবিধ অপরাধের কারণে আমরা শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসি জান ও মালের চরম নিরাপত্তহীনতার ভীতরে আছি। অপরাধ যেন কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না। বহু বার চোর এবং ছিনতাইকরীদের কে আটক করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের  কে গ্রেফতারও করে, জামিনে বের হয়ে এসে আবার সেই অপরাধ কার্য চালিয়ে যায়।

ইসলামপুরের ডেলুনি বাড়ি গলির স্থানীয় কিছু লোকজন নিরাপত্তাজনিত কারনে তাদের অনেকেই ছিনতাইকারীদের কে সম্ভাব্য ভাবে চিনেও তাদের নাম ভয়ে প্রকাশ করে না ।

সংবাদের তথ্য অনুসন্ধানে এই এলাকার গলিতে পাওয়া আজাদ নামের একজন আইনজীবী পথচারীকে পেয়ে উক্ত এলাকার এসকল অপরাধের বিষয়ক  তাকে জিজ্ঞাস করিলে তিনি সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পাস কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তাকে উক্ত এলাকার এই গলিটি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করিলে তিনি জানান-  এই ধরনের চুরি, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনা বহু পূর্ব  হতে এই গলিটিতে ঘটে আসছে এই ব্যাপারে শুধু আমি একক নয় এলাকাবাসি অনেকেই জানে কিন্তু কেও নিরাপত্তা জনিত কারনে অথবা ব্যক্তিগত কারণে মুখ খুলে না।  আমিও জানি যে, এই এলাকার উক্ত গলিটিতে রাত্রিকালীন সময় অত্যন্ত বিপদজনক ও ঝুকিপূর্ণ এলাকা হয়ে যায়। তখন অপরাধী চক্ররা সক্রিয় ভাবে এই ধরনের চুরি, ছিনতাই সহ নানাবিধ অপরাধ করে থাকে। তবে এখানে কতিপয় অস্থায়ী বা ভাড়াটিয়া কিছু সংখ্যাক বাজে লোকের এর পরোক্ষ ইন্ধনে  এই ধরনের অপরাধ সুসংগঠিত হয়ে আসছে বলে তিনি ধারণা করেন। তিনি আরও বলেন, এই এলাকার উক্ত গলিটিতে যারা স্থায়ী বাসিন্দা তারা সমাজের গন্যমান্য ও শান্তিপ্রিয় ব্যাক্তি বিশেষ। যারা সমাজের বিভিন্ন পেশা এবং ব্যবসায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি ধারনা থেকে বলেন যে, উক্ত গলির স্থানীয় এরাকাবাসী তাদেরই নির্মিত বহুতল বাসায় ভাড়া দেওয়ার সময় উক্ত অপরাধী চক্র তাদের পরিচয় আত্ম গোপন রাখে এবং বিভিন্ন পেশা বা ব্যবসা বানিজ্য দেখিয়ে ভদ্রলোক সেজে বাসা ভাড়া নিয়ে এলাকার এবং উক্ত গলির সকলের সাথে ভালো মানুষ সেজে সামাজিক ভাবে মিলে মিশে বিভিন্ন তথ্য জেনে পরোক্ষ ভাবে এই ধরনের অপরাধী ও ছিনতাইকারীদের কে সেই তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে অপরাধ কার্য  চালাতে সাহায্য করে আসছে। তিনি বলেন- তা নাহলে উক্ত এলাকাতে কোথায় কে আছে? কার বাসায় কি আছে? কে সড়ক পথ দিয়ে চলাচল করছে? কখন করছে ইত্যাদি এই সকল তথ্য চোর, অপরাধী ও ছিনতাই কারী চক্রদের পাওয়ার কথা না। উক্ত ছদ্দবেশী কতিপয় কিছু সংখ্যাক ভাড়াটিয়াদের কারণেই সম্ভাব্য এই ধরনের অপরাধ সক্রিয় ভাবে সুসংঘটিত হচ্ছে।

সংবাদের আরো বিস্তারিত তথ্য অনুসন্ধানে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি বলেন যে, উক্ত এলাকার গলিটিতে গত বছর রাতের দিকে কুমিল্লা ফৌজদারীতে অবস্থিত  ethnica School and College এর একজন শিক্ষিকার মোবাইল ফোনও এই গলি থেকে প্রকাশ্যে ছিনতাই হয়।

এই বিষয়ে অভিযোগ কারী মওদুদ আবদুল্রাহ শুভ্র বলেন, যেহেতু আমি নিজেও এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তাই এই এলাকার সকলেই প্রায় আমার চেনা, জানা। উক্ত পুরাতন চৌধুরী পাড়ার সহজে যাতায়েতের সুবাধার্থে  আমি প্রায় সময় এই রোডটি ব্যবহার করি। এই ধরনের অপরাধ জনিত ঘটনা আমার সাথে হঠাৎ করে ঘটে যাবে সেটা আমার কল্পনারও বাহিরে ছিলো। তবে আমি কুমিল্লা পুলিশ প্রশাসন, কুমিল্লার মেয়র সাহেব ও কাউন্সিলর সাহেবদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি- অতি দ্রুত উক্ত এলাকাটিতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিসি ক্যামেরা প্রতিষ্ঠাপন করা একান্ত ভাবে জরুরী হয়ে পরেছে। তাছাড়াও উক্ত গলিটিতে প্রতিনিয়ত থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের নিয়মিত ভাবে টহল বাড়ানো উচিৎ ও সন্দেহ জনক ব্যক্তিকে ‍পুলিশ প্রশাসনের সন্দেহ জাগিলে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হয়তো এই অপরাধ চক্রটি সহ অপরাধ চক্রের পরোক্ষ মূল হোতাকে আইনের আওতায় আনা যাবে। আমার ধারনা এই পদ্ধতি অনুসরণ  করিলে, এই সমস্যা থেকে উক্ত এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য শান্তিপ্রিয় বাসিন্দা সহ অন্য এলাকার ভদ্র মানুষ জনও যারা কিনা এই সড়ক পথটিতে তাদের আত্মীয় স্বজনের বাসায় আসা যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাবে ।

এই বিষয়ে অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সৈয়দ ফারুক জানায়, এই গলিটি বরাবরই ঝুকিপূর্ণ। এর আগেও বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত মওদুদ আবদুল্লা শুভ্র’র অভিযোগটির ব্যাপারে অবগত হয়েছি। ছিনতাইকারী সহ অপরাধ চক্রটিকে শনাক্তের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগকারীকেও বলা হয় তিনিও যাতে উক্ত অপরাধ চক্র ও ছিনতাইকারীদের কে শনাক্ত করার ব্যাপারে চেষ্টা চালায়, কোন তথ্য পেলে যাতে অবশ্যই অভিযোগের মূলে আসামীদের নাম ও ঠিকানা সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন কে জানায়। পুলিশ উক্ত অভিযোগের অনুকুলে অপরাধের অভিযুক্তদের তদন্ত সাপেক্ষে শনাক্ত করে  নিয়মিত ভাবে মামলা দেয়া হবে।

Leave a Reply