
বাংলা নিউজ ডেস্কঃ বাবুল আক্তার গত ৯ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়েরের প্রার্থনা জানানোর পর গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ফেনী কারাগারে প্রবেশ করে বাবুল আক্তারের কক্ষে দীর্ঘ সময় তল্লাশি করে।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী জানান, কারাগারে ফেনী থানার ওসি প্রবেশের চিত্র সিসিটিভি ক্যামেরায় রয়েছে। জেল কোড অনুসারে থানার কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা কোনভাবেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালতের লিখিত অনুমতি ছাড়া জেলখানায় প্রবেশ করতে পারেন না। ফেনী থানার ওসি আইন লংঘন করে জেল কোড অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আরও জানান, ওসি প্রবেশের ঘটনার তদন্ত ও বাবুল আক্তারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফেনীর জেলসুপারকে নির্দেশ প্রদানের আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে আদেশের জন্য রেখেছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় গুলি ও ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রী খুনের ঘটনায় ওই সময় নগরীর পাচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন বাবুল আকতার।
গত বছর ১২ মে বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মিতুর বাবা মোশররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় পাল্টা মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলাই তদন্ত করেছে পিবিআই।