অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক পরিবারের নিরাপত্তা সংক্রান্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন

সূত্রঃ মানবাধিকার খবর: “কুমিল্লায় বিবিধ চক্রান্তের স্বীকার সরকারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিবারের সদস্যরা, পাচ্ছে না প্রতিকার—মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ”।

কুমিল্লায় অবসর প্রাপ্ত সরকারি শিক্ষক দম্পতি ও তাঁর পরিবার পরিজনকে হয়রানি অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ৭ (সাত) বছর যাবৎ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও প্রতিকার না পেয়ে সর্বশেষে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের একমাত্র সন্তান মওদুদ অব্দুল্লাহ শুভ্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় ও সচিব মহোদয়, মাননীয় চেয়ারম্যান— জাতীয় মানবাধিকার (সরকারি) কমিশন, মাননীয় মহা পরিচালক/ডিজি— র্যাব সদর দপ্তর (ঢাকা), মাননীয় আইজিপি অফ পুলিশ— পুলিশ হেডকোটার্স (ঢাকা), মহাপরিচালক/ ডিজি— ডিজিএফআই (ঢাকা সেনানিবাস), চেয়ারম্যান—বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল (ঢাকা), ডিআইজি (বাংলাদেশ পুলিশ)—চট্টগ্রাম রেঞ্জ, কোম্পানি কমান্ডার (র্যাব—১১, সিপিসি—০২) কুমিল্লা জেলা, যুগ্ম পরিচালক (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, কুমিল্লা), ররাবর রেজিস্ট্রি এডি করে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়, তাছাড়াও জেলা প্রশাসক (কুমিল্লা জেলা প্রশাসন)— কুমিল্লা, পুলিশ সুপার— কুমিল্লা জেলা পুলিশ (কুমিল্লা) লিখিত অভিযোগ সহ অফিসার ইনচার্জ— কুমিল্লা কোতয়ালী সদর মডেল থানাতে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) ও অভিযোগ দাখিল করেন।

ভুক্তভোগী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র পেশায় একজন সাবেক ট্রাস্ট ব্যাংক কর্মকর্তা (কুমিল্লা সেনানিবাস শাখা)। বর্তমানে পেশায়:— কুমিল্লা জজকোর্টের একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী। এছাড়াও তিনি জাতীয় মাসিক মানবাধিকার খবর— ব্যুারো চীফ (কুমিল্লা), জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা “দৈনিক বাংলা নিউজ” এর— সম্পাদক ও প্রকাশক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন— কো—ওয়েল ফেয়ার সেক্রেটারি (কুমিল্লা জেলা) এবং হিউম্যান রাইটস রিভিউ স্যোসাইটি— “প্রেসিডেন্ট” সেন্ট্রাল কুমিল্লা জোন এর দায়িত্ব পালন সহ অন্যান্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও পেশাগত কর্মকান্ডে নিয়োজিত আছেন।

মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র জানান, আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন সময়ে সমাজের অসহায় সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের শিক্ষানবীশ আইনজীবি ও মানবধীকার কর্মী হিসাবে আইনি মতাতম প্রদান করিয়া মীমাংসার চেষ্টা করে থাকি। যার আলোকে আইনের চোখে অধিকার বঞ্চিত মানুষরা জটিলতা থেকে বেরিয়ে এসে আইনের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে উপকৃত হয়। এতে করে কিছু অজ্ঞাত—অচেনা লোক আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করিতে থাকে সহ আমার পরিবারকে হয়রানি করার বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার পিতা— আব্দুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া (৭৭)। তিনি পেশায়: কুমিল্লা সরকারি প্রাইমারি ট্রেনিং ইন্সটিউটের— অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক এবং মাতা— হালিমা বানু (৭৫)। তিনি পেশায়: কুমিল্লা নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষিকা। উক্ত অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী ও কু—চক্রটি মহলটি আমার ক্ষতি না করিতে পেরে পরোক্ষ ভাবে আমার পরিবারের সদস্যদের কে টার্গেট করে তাদের জানমালের ক্ষতিসহ সুনাম বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। যার ফলে আমার বাবা—মা মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং বর্তমানেও শারীরিক ভাবে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। আমাকে মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে হুমকি ধমকি দেয় তারই পাশাপাশি আমার স্ত্রীকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি বিশ^বিদ্যালয় কলেজে আসা যাওয়ার পথে উক্ত অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার ফলে তাহারও লেখা—পড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। আমি বিষয়গুলো আরও কয়েকবার প্রশাসনকে মৌখিক এবং লিখিত ভাবে অবগত করি। তাছাড়াও কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় উক্ত অপরাধের বিষয়গুলো অফিসার ইনচার্জ কে অবগত করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপরাধ মূলক ঘটনা ঘটার কারণে আমি ও আমার পরিবার পরিজন সদস্যগণদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা কল্পে ও পুলিশের আইনগত সহযোগীতা প্রাপ্তির আশায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপরাধ মূলক ঘটনার পরিপেক্ষিতে আমি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী ও কু—চক্রীয় মহলকে সনাক্তকরণ পূর্বক উক্ত সিন্ডিকেট বিরুদ্ধে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ কল্পে সাধারণ ডায়েরী (জি.ডি) দায়ের করি। যাহার জি.ডি নং সমূহ— (ক) জি.ডি —১৫৭, তাং— ০৩—০৫—২০১৭ইং, (খ) জি.ডি—১৬৫,তাং ০৩—১১—২০১৭ইং, (গ) জি.ডি—১৪৪৪, তাং—২৫—১০—২০২০ইং, (ঘ) জি.ডি— ১৮৬২, তাং—২১—১০—২০২৩ইং। সর্বশেষে দৈনিক বাংলা নিউজ অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করাতে আমাকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদ্বয় হুমকি ধমকি দেওয়ায় নিরাপত্তা চেয়ে একটি (ঙ) জি.ডি করি, (ডি.ডি নং— ১৮৭২, তাং ২৪—১১—২০২৩ইং)। এছাড়াও কুমিল্লা কোতয়ালি সদর মডেল থানায় উক্ত বিষয়ক অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ করি। যার এস.ডি.আর নং—১৯২/২০২৩ই, তাং—১৪—০১—২০২৩ইং। তখন কুমিল্লা পুলিশ প্রশাসন আমাকে ও আমার পরিবারকে সর্বাত্বক আইনী ভাবে নিরাপত্তা ব্যপারে সহযোগিতা করে। অবশেষে ০১ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং (তারিখঃ ০১—০১—২০২২ইং) আমাকে জানে হত্যার জন্য মারধর করলে কুমিল্লা সদর (জেনারেল) হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। কিন্তু অজ্ঞাতনামা আসামীদের কে চিনতে না পারায় আমি থানায় বা আদালতে কোন মামলা করতে পারি নাই। তখন প্রশাসনিক র্কমকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং আমাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দেন। তখন বিষয়টি নিয়ে আমি একটি সংবাদ সম্মেলন করি এবং সংবাদটি কুমিল্লার জনপ্রিয় সংবাদ পত্রগুলোতে প্রচার—প্রকাশ করা হয়। তখন অজ্ঞাতনামা আসামীরা আগের থেকে আরো হিংস্র হয়ে যায়। তারা আমাকে সরাসরি উদ্দেশ্য করে বলে, আমি যদি আমার পেশাগত কাজ থেকে সরে না দাড়াই তাহলে অজ্ঞাতনামা আসামীরা আমাকে অথবা আমার সাথে না পারলে আমার পরিবার পরিজন সদস্যদেরকে রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের মাধ্যমে তথ্য বিভ্রান্তি করে নানাবিধ হয়রানি করবে বলে হুমকি দেয় এবং আরো বলে যে, অজ্ঞাতনামা আসামীরা উক্ত নারী—পুরুষ, সিন্ডিকেট দিয়ে বাংলাদেশে যেকোনো আদালত বা থানা থেকে কোন মিথ্যা ঘটনা দিয়ে আমি সহ আমার পরিবার ও পরিজনদেরকে যে কোন মামলা দিয়ে একতরফা তদন্তবিহীন ভাবে উক্ত মামলার বানোয়াট মামলার ওয়ারেন্ট দিয়ে আমাদের কে গ্রেফতার করবে। তারপরও আমি তাদের প্রাণ নাশের হুমকি ধমকি উপেক্ষা করে আমি আমার পেশাগত কাজে এখনও পর্যন্ত নিয়োজিত আছি। অতঃপর আমি বাধ্য হয়ে বর্তমানে মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়, কুমিল্লা বরাবরে বিগত দিনের বিস্তারিত অপরাধমূলক ঘটনা বিস্তারিত জানিয়ে এবং আমার আইনগত নথিপত্রাদি সংযুক্ত দিয়ে “আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে আইনগত সহায়তা পাওয়ার আবেদন” করি। যার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কুমিল্লায় “সূত্র শাখায়” এই অপরাধের বিষয়ে অভিযোগ করি। যাহার কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের “সূত্র শাখার” রিসিভ স্মারক নং— ৩৮৪৮/M, তাং—২৭—০৮—২০২৩ইং। যাহাতে আমি আমার পরিবারের সাথে বিগত দিনের ঘটনাগুলো উল্লেখ করি। বিগত ২৩—০৬—২০১৯ইং তারিখে আমার বাসার সামনের (ইসলামিয়া আদর্শ বিদ্যালয়) রাস্তায় আমাকে মতিন পরিচয় নামধারী সহ আরেকজন ব্যক্তি যারা নিজেরা কুমিল্লা জজকোর্টের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে আমাকে একটি কাগজ দেয় এবং তারা বলে আমার অসুস্থ পিতা— জনাব আবদুল ওয়াদুদ ভঁূইয়ার নামে ঢাকার সিএমএম আদালত হতে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। যাহার জি.আর নাম্বার—৬২৪৪/১৯ইং, রেফারেন্স নং— ১২০৩/১৯ইং, ডব্লিউ নং—৩৩৩৪/১৯ইং,তাং—২৬—০৬—২০১৯ইং। উক্ত কুমিল্লা জজকোর্টের কর্মচারী আরও বলে যে, কুমিল্লা পুলিশ সুপার অফিসে সূত্র শাখায় খোঁজ নিলে এই বিষয়ে সব কিছুর সত্যতার তথ্য জানা যাবে। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা তৎকালীন কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার এর সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে সম্পূর্ণ ঘটনা বললে তিনি আন্তরিকতার সহিত আমাদের এই বানোয়াট ওয়ারেন্টের ব্যাপারটি কুমিল্লা কোতয়ালী সদর মডেল থানা সহ কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সূত্র শাখায় তল্লাশি দেওয়ান। তল্লাশীতে কুমিল্লা কোতয়ালী সদর মডেল থানার ওয়ারেন্ট রেজিষ্টার বহিতে এই নামের কোন ওয়ারেন্ট তথ্য পাওয়া যায় নাই। কিন্তু পুলিশ সুপার কার্যালয় কুমিল্লা “সূত্র শাখায়” বালাম বহিতে এই ওয়ারেন্টির বিষয়ক তথ্য তল্লাশি দিয়ে পাওয়া যায়। যাতে কি’না আসামী দেখিয়ে ছিলো আমার পিতার নামে, পুলিশ সুপার অফিসে “সূত্র শাখার” বালাম বহিতে তথ্য তল্লাশি দিলে জানা যায়— আমার পিতার নাম ঠিক থাকলেও আমার পিতার বাবার নাম ও ঠিকানা কোন কিছুর তথ্য মিল পাওয়া যায় নাই। তখন সাবেক পুলিশ সুপার জানায় উক্ত তথ্য সূত্রে পাওয়া ওয়ারেন্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি মূলত বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য করা হয়। অতঃপর তিনি আমাদেরকে বলেন যে— কিছু মামলার ক্ষেত্রে বিশেষে মামলা বুঝে ওয়ারেন্ট হয়। তবে যে কোন মামলার ওয়ারেন্ট হওয়ার পূর্বে আদালত থেকে সমন জারী হয় অথবা থানার পুলিশ তদন্তে অবশ্যই যায়, আদালতের সমন ছাড়া অথবা পুলিশের কোন তদন্ত ছাড়া কোন ওয়ারেন্ট/ গ্রেফতারি পরোয়ানা হয় না।

এই পুরো অপরাধমূলক বিষয়গুলো অবগত হয়ে বর্তমানের পুলিশ সুপার, কুমিল্লা আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে কুমিল্লা কোতয়ালী সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ কে নির্দেশ দেন, যার পুলিশ সুপার কার্যালয়, কুমিল্লার স্মারক নংঃ ৯৪৬১/২য়, তারিখ ২৯/০৮/২০২৩খ্রিঃ।

কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার তৎকালিন অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ পুলিশ সুপার মহোদয়ের এই অভিযোগের বিষয়টি পেয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী সদর থানার এস.আই মোঃ খাজু মিয়াকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
বিষয়টি কুমিল্লা কোতয়ালী সদর মডেল থানার তদন্তের আয়ূ এস.আই মোঃ খাজু মিয়া সকল থানায় ও আদালতে উক্ত অভিযোগের তথ্য অনুসন্ধান, খোঁজ খবর ও তল্লাশী দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট করেন। এই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন যে, আবেদনকারী বা বাদীর পিতা অবসর প্রাপ্ত সরকারী স্কুল শিক্ষক জনাব আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া এর নামে ঢাকা সি.এম.এম আদালতে মামলা হয়েছে ও ওয়ারেন্ট হয়েছে। উক্ত বিষয়ে কুমিল্লা “সূত্র শাখায়” খোঁজ নেওয়ার কথা মতিন নামীয় একজন অপরিচিত ব্যক্তি মিথ্যা পরিচয় দিয়ে কুমিল্লা কোর্টে চাকুরী করে মর্মে বাদীর বাড়ীর সামনে এসে তাহার পিতার নামে মামলা আছে উক্ত বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে খোঁজ নেওয়ার কথা বলে চলে যায়। প্রকৃত পক্ষে “সূত্র শাখায়” ডব্লিউ নম্বর— ৩৩৩৪/১৯ইং, তাং— ২৬/০৯/২০১৯খ্রিঃ উল্লেখ আছে। তথ্য নিয়ে জানা যায়। কিন্তু উক্ত পরোয়না পরবর্তীতে কুমিল্লা আদালতে ও কুমিল্লা জেলায় কোন থানায় মূলতবী আছে মর্মে কোন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। মতিন ব্যক্তি ছদ্ম নামধারী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের দ্বারা অভিযোগকারী ও তাহার পিতা—মাতা, স্ত্রী—সন্তানদেরকে সহ পরিবারের লোকজনকে সামাজিক ভাবে ও পারিবারিক ভাবে সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য পায়তারা করিতেছে মর্মে বিষয়টি তদন্তকালে প্রতিয়মান হয়। উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিষয় নাম, ঠিকানা সংগ্রহের জন্য গুপ্তচর নিয়োগ করা হয়েছে। এমন কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিদের প্রকৃত তথ্য পাওয়া গেলে তাহাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে। বাদী ও তাহার পরিবারের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা ডব্লিউ ইস্যু করা হয়েছে মর্মে অনুসন্ধাকালে প্রতিয়মান হয়। বাদীকে ঘটনার বিষয় পর্যালোচনা করিয়া সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। বিষয়টি পূর্ব শত্রুতা হইতে উক্ত ডব্লিউ প্রস্তুত করে ডাকযোকে পুলিশ সুপার কার্যালয় প্রেরণ করা হয়েছে মর্মে সন্দেহ করা যাইতেছে। কিন্তু বাদী ও তাহার পরিবারের লোকজনদের সাথে স্থানীয় বা অন্য কোথায় কারোর সাথে মতবিরোধ নেই মর্মে বাদী জানায়। উপরোক্ত বিষয়ে দায়ী ব্যক্তিদের ভবিষ্যতে কোন তথ্য পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।

পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্টটি কুমিল্লা কোতয়ালি সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ উক্ত তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্টটিতে স্বাক্ষর করেন। যাহার কুমিল্লা কোতয়ালি সদর মডেল থানার স্মারক নং— ৮৬৯৬; তারিখঃ ১৪—০৯—২০২৩ইং।

মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র আরও জানায়, আমি কুমিল্লা জজকোর্টের একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবী, তাই পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আদেশ নামার কপি সহ অন্যান্য জরুরি কাগজপত্র সংযুক্তি দিয়ে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককের বরাবরে ভবিষ্যতে আইনগত সহযোগীতা প্রাপ্তির জন্যে লিখিত অভিযোগ করি। কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব মিজানুর রহমান স্বাক্ষর ও সীল দিয়ে গত— ০২/১০/২০২৩ইং তারিখে অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে আমাকে একটি রিসিভ কপি দেয়। তিনি এই বিষয়ে আমাকে সার্বিক সহযোগিতার প্রাপ্তির আশ্বাস প্রদান করেন।

হিউম্যান রাইটস রিভিউ স্যোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান— এড. মোঃ সাইদুল হক সায়েদকে উক্ত অপরাধ মূলক অভিযোগের বিষয়টি জানালে তিনি বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানিয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ ও সহযোগীতা পাওয়ার আশ্বাস দেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক পরিবার পক্ষ থেকে তার ছেলে মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র জানায়, বিষয়টি নিয়ে আমি ও আমার পরিবার মানুষিক চাপে আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ এখতিয়ার সম্পন্ন সকল সরকারি দপ্তরে এই বিষয়ে লিখিত ভাবে ভবিষ্যতে আইনগত সুরক্ষা ও প্রশাসনিক নিরাপত্তা চেয়ে ইতিমধ্যে লিখিত আবেদন করা হয়। আমাদের শিক্ষক পরিবারের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, উক্ত কু—চক্রীয় মহলটি আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা তথ্য বিভ্রান্তি করে রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল দ্বারা যে কোন ধরনের হয়রানি, মিথ্যা মামলা দিয়ে ও তদন্তবিহীন ভাবে একতরফা ভূয়া ও জালিয়াতি মূলক ওয়ারেন্ট, অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীগং ও কু—চক্রীয় অজ্ঞাতনামা আসামীদের এইরকম হয়রানি থেকে পরিত্রান ও জানমালের নিরাপত্তার দাবী জানিয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মহোদয় সহ দেশের সকল প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Leave a Reply