কুমিল্লার ডিসি ও এসপি ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কে

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপনে গ্রামে ছুটে যাবে মানুষ। ঈদযাত্রায় যানজটের কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন সড়কপথে। ঢাকা থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ অন্তত ১০ জেলার যানবাহন চলাচল করে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ দিয়ে।
দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ রাখতে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের চান্দিনা বাসস্ট্যান্ডসহ যানজটের গুরুত্বপূর্ণ স্পট পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, ক্যান্টনমেন্ট, ইলিয়টগঞ্জ, গৌরীপুর, দাউদকান্দি টোলপ্লাজা পরিদর্শন করেন তারা।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, যে কোনো কিছুর বিনিময়ে আমরা ঈদযাত্রা একেবারে নির্বিঘ্ন ও যানজট মুক্ত করতে আজকে থেকে আমাদের সব পর্যায়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবী যারা আছেন সবাই আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে।
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা যেকোনো কিছুর বিনিময়ে হাইওয়ে সচল রাখতে চাই। কোনো অবস্থাতে যাতে অচল না হয়। অচল থাকার সম্ভাব্য কারণগুলো আমরা ঘুরে দেখছি এবং সবার সহযোগিতায় আমরা কতগুলো সমস্যা শনাক্ত করতে পেরেছি।
ট্রান্সপোর্ট ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দায়িত্বে যেখানে তাদের গাড়ি দাঁড়ানোর কথা তা মেইনটেইন করে যাতে যানজট মুক্ত রাখে। এছাড়াও ঘরমুখো মানুষের গন্তব্য যাওয়ার বিষয়টি মাথায় নিয়ে সরকারের সর্বোচ্চ লেভেল থেকে শুরু করে আমাদের ঈদ পর্যায়ে সকলে সচেষ্ট। শুধুমাত্র ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট না, স্মুথ গাড়ির মুভমেন্টের পাশাপাশি জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা মাথায় নিয়েও আমরা আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা সাজিয়েছি। হাইওয়েগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেট্রল দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৩১ কিলোমিটার সড়ককে ভোগান্তিমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
কুমিল্লা রিজিয়নে হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, সেক্টর থাকবে ২টি ও সাব-সেক্টর ২১টি, মোবাইল ডিউটি থাকবে ৩৪টি, পিকেট ডিউটি ১৫টি, কুইক রেসপন্স টিম মোটরসাইকেলযোগে থাকবে ১৫টি, পিকআপযোগে থাকবে ১৫টি, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ১টি, রেকার ডিউটি সরকারি ৫টি ও বেসরকারি ৬টিসহ সর্বমোট ১১টি, অ্যাম্বুলেন্স ডিউটি ২টি, কন্ট্রোল রুম ১টি, অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম বা ওয়াচ টাওয়ার থাকবে ৩৫টি। এভাবে সব পদের সর্বমোট ৬৮০ জন পুলিশ ও ৩৫০ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য সার্বক্ষণিক মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মহড়া দেবে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল হক সরকার বলেন, কুমিল্লা অঞ্চলের মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোত কিছুটা যানজট রয়েছে। তবে এবার ঈদে নির্বিঘ্নে সবাই বাড়ি ঈদ উদযাপন করতে পারবে মানুষ। কোনো দুর্ঘটনাজনিত কারণে কিংবা টোলপ্লাজায় যদি যানবাহনের জটলা তৈরি হয়, সেজন্য হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নানান ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে আমাদের নজরদারি থাকবে।

Leave a Reply