জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে এক সরকারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিবারের আবেদন

বাংলা নিউজ ডেস্ক:কুমিল্লা সিটিতে নানাবিধ চক্রান্তের স্বীকার হয়েও এক সরকারী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিবারের সদস্যরা, পাচ্ছে না প্রতিকার,অবশেষে বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ঘুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে এখতিয়ার সম্পন্ন কর্মকর্তাগনদের নিকট প্রতিকার চেয়ে আবেদন করে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

কুমিল্লা কালিয়াজুরি পিটিআই স্কুলের সরকারি বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া ও কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকা একমাত্র ছেলে মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ সাথে কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানা জি ডি সমুহ ( সাধারন ডায়েরী), অভিযোগ সমুহ, কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ কপি সহ উক্ত অভিযোগ এর তদন্ত প্রতিবেদন কপি সাথে জরুরী প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে উক্ত লিখিত ভাবে আবেদন করেন।

নিজের জান-মাল ও প্রানের নিরাপত্তা নিয়ে চরম ভাবে সংকিত যুবক মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র দীর্ঘ সাত বছর যাবৎ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ সহ অভিযোগর গুরুত্বপূর্ণ নথি সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে জান- মালের- প্রানের সার্বিক নিরাপত্তা আইনগত ও প্রশাসনিক আত্মরক্ষা, সুরক্ষা- নিরাপত্তা চেয়ে তার পরিবারের জান- মাল ও প্রানের নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত ভাবে আবেদন গুরুত্বপূর্ণ নথি দিয়ে আবেদন করার পরেও এবং জানানোর পরেও প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে একটি পর্যায়ে উপায় আর খুঁজে না পেয়ে নিজ নিজ পরিবার পরিজনদের আইনগত সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং আত্মরক্ষা চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিব মহোদয় -স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়( ঢাকা সচিবালয়), মাননীয় চেয়ারম্যান- জাতীয় মানবাধিকার (সরকারি) কমিশন, মাননীয় আইজিপি অফ পুলিশ / পুলিশ প্রধান- পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা,মাননীয় মহাপরিচালক /ডি জি মহোদয়- র‍্যাব ফোর্সেস র‍্যাব সদর দপ্তর , মাননীয় মহাপরিচালক / ডি জি মহোদয় ডি জি এফ আই,ঢাকা সেনানিবাস, মাননীয় ডি আই জি অফ পুলিশ (চট্টগ্রাম রেঞ্জ),মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল (ঢাকা), মাননীয় কোম্পানি কমান্ডার (র‍্যাব —১১, সিপিসি—০২) কুমিল্লা জেলা, মাননীয় যুগ্ম পরিচালক (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, কুমিল্লা),তাছাড়াও মাননীয় জেলা প্রশশাসক ও মাননীয় পুলিশ সুপার সহ অফিসার ইনচার্জ, কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাতে একাধিক সাধারণ ডায়েরী (জিডি) ও সুনির্দিষ্ট ঘটনার উপর ভিত্তি করে অভিযোগ দাখিল করা হয়।
ভুক্তভোগী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র পেশায় একজন সাবেক ট্রাস্ট ব্যাংক কর্মকর্তা, বর্তমানে কুমিল্লা জজকোর্টের একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী, স্বত্বাধিকারী- আইন পরামর্শ সেবা কেন্দ্র,হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি -প্রেসিডেন্ট( সেন্ট্রাল জোন কুমিল্ল), জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকার সংবাদপত্র কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন সহ অন্যান্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও পেশাগত কর্মকান্ডে নিয়োজিত আছেন।
মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র জানান, আমি আমার পেশাগত গুরু দায়িত্ব মানবকল্যানে কাজে পালনসহ বিভিন্ন সময়ে সমাজের অসহায় আইনের সুবিধা অধিকার বঞ্চিত মানুষদের মানবধীকার কর্মী, শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও স্বত্বাধিকারী – আইন পরামর্শ সেবা কেন্দ্র উক্ত পেশার আলোকে আমি আইনি মতাতম প্রদান করিয়া মীমাংসার চেষ্টা করে থাকি ও বিগত দিন ধরে করেও দিয়েছি। যার আলোকে আইনের চোখে অধিকার বঞ্চিত মানুষরা জটিলতা আইনি জটিলতা থেকে সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে এসে আইনের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে উপকৃত হয়। এতে করে কিছু লোক আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করিতে থাকে এবং পিতা মাতা দুজনেই শিক্ষকতা করতেন, উক্ত অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী ও কু—চক্রটি মহলটি সক্রিয় ভাবে তথ্য প্রযুক্তিগত থেকে শুরু করে আমার অপুরনীয় ক্ষতি করার চেস্টায় পদ্মাবতী পর্যন্ত লিপ্ত আছে। কিন্তু প্রত্যক্ষভাবে না পারলেও পরোক্ষভাবে আমার ক্ষয় ক্ষতি সাধিত চেস্টা করছে। আমার ক্ষতি না করিতে পেরে পরোক্ষ ভাবে আমার পরিবারের সদস্যদের কে টার্গেট করে তাদের জানমালের ক্ষতিসহ সুনাম বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে।যার ফলে আমার বাবা—মা মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং বর্তমানেও শারীরিক ভাবে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র জানায়- আমার স্ত্রী তাদের এই রকম ক্ষতি সাধন করার জন্য আমার স্ত্রীর মুখে এসিড নিক্ষেপ অথবা অপহরন করতে পারে আর আমাকে অপহরণ করা বশত বিড়াট অংকের টাকা মুক্তিপন আমার পরিবারের কাছে দাবি করতে পারে তাছাড়াও যেহেতু এটি বিড়াট কু- চক্রীয় সিন্ডিকেট মহল তাই আমাকে বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেট নাম্বার থেকে কল ও মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে ও সরাসরি হুমকিও দেয়। শুধু তাই নয় উক্ত কু- চক্রীয় সিন্ডিকেট মহল টি বিড়াট অপশক্তি তারা বিভিন্ন ছদ্দবেশ ধারন করে আমার পিছনে ঘুরাফেরা করে।এই বিষয়ে কয়েকবার প্রশাসনকে মৌখিক এবং লিখিত ভাবে অভিযোগ করে র‍্যাব ও পুলিশকে অবগত করি। কোতয়ালী মডেল থানায় একাধিক জিডি ও অভিযোগ দাখিল করি। সর্বশেষ আমার দৈনিক বাংলা নিউজ অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে আমাকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদ্বয় হুমকি ধমকি দেওয়ায় নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করি ও অভিযোগ দাখিল করি।গত পহেলা ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং আমাকে জানে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করলে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেই এবং উক্ত বিষয়ে থানায় অবগত করি।
আসামীদের শনাক্ত করতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে কোন মামলা করতে পারিনি।পরে পুলিশ সুপার বরাবরে “সূত্র শাখায়” উক্ত বিষয় অভিযোগ দায়ের করি। কোতোয়ালি থানা পুলিশের তদন্তকালে প্রমাণিত হয় – এই বিষয়ে কুমিল্লা জজ কোর্টের ভুয়া কর্মচারী মতিন সহ অজ্ঞাতনামা অনেকজন কুচক্রীয় মহল জড়িত আছে।

তারা আমাদের সততার কারনে কোনভাবে না পেরে জজকোর্টের ভুয়া কর্মচারী মতিন পরিচয়ে আমার পরিবারের সদস্যের নামে ভুয়া বানোয়াট মিথ্যা ওয়ারেন্টের কপি ধরিয়ে দিয়ে সটকর পরে,যা পুলিশ সুপার ও কোতয়ালী মডেল থানার তথ্য মিথ্যা ওয়ারেন্ট বলে প্রমানিত হয়।ভবিষ্যতে তারা যে এই ধরনের কার্যক্রম আর করবে না এমন কোন ধরনের আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে না।
মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র আরও জানান,নানাভাবে আমাকে হয়রানির কারনে আমার পরিবার সামাজিক ও আর্থিকভাবে আমরা মারাত্মক ক্ষতির সমুক্ষীন হচ্ছি।তাই সকল দপ্তরে আইনি সুরক্ষা এবং প্রশাসনিক নিরাপত্তা চেয়ে এই সমস্যা প্রতিকারের উদ্দেশ্যে আবেদন করেছি।তারপর আমি মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র উক্ত সব বিষয় উল্লেখ করে জাতীয় পত্রিকা, স্থানীয় পত্রিকা এবং অনলাইন পত্রিকা বিস্তারিত ডকুমেন্টারি ঘটনা তুলে ধরি। তখন সাংবাদিক মহল আমার ডকুমেন্টারি তথ্য সমৃদ্ধ এবং কাগজপত্রাদি দেখে তারা সান্ত্বনা প্রদান করে এবং বিস্তারিত ঘটনা পত্রিকায় তুলে ধরে । যেটা খুব আলোচিত নিউজ হয়। অত: পর বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মহোদয়ের কার্যালয় হতে আমার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ কর্মকর্তা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।আমাকে দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ প্রদান করেন সাথে আমাকে বলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ আমার উক্ত সমস্যার ব্যবস্থা নিবে তার সাথে আমাকেও আসামীদের সনাক্ত করতে বলেন। এই মর্মে আমি লিখিতভাবে বক্তব্য প্রদান করি যাহার সুত্র নাং-পুলিশ সুপার,কুমিল্লা দপ্তর স্মারক না:-২৪৯/২য়, তারিখ: ১৬.০১.২০২৪ ইং।

অতঃপর বেশ কিছুদিন ধরে আমি শান্তিপ্রিয়ভাবে আমিনা পেশাগত কাজ চালিয়ে যাই। কিন্তু বিগত ২১.০৪.২০২৪ ইং তারিখে আমার বসবাসের আদালত সংলগ্ন এলাকায় একটি নীল রংয়ের প্রো বক্স গাড়ি দিয়ে আমাকে প্রতিরোধ করে একজন মধ্য বয়সি ব্যক্তি আমাকে সরাসরি বলে -আমরা সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বের শাখার লোক। আপনারও তো সমস্যার ব্যাপারে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি এবং সমাধানের জন্য আপনার সাথে কথা বলতে চাচ্ছি। ওনাদের কথাবার্তা এবং চলাফেরা আমার কাছে সন্দেহভাজন মনে হচ্ছিল, তখন আমি ওনাদেরকে বলি – আপনার আমার সহযোগিতা করতে এসেছেন এজন্য ধন্যবাদ। আমি আমার নিকটস্থ থানার উক্ত বিশেষ অভিযোগে তদন্তের আয়ু কে ফোন মারফত এখানে আসতে বলি। উভয়ের উপস্থিতিতে কথোপকথনে শত্রু সনাক্ত করতে সহযোগিতা পাবো বলে আমি আশা করি। তখন ওই সরকারি বিশেষ গোয়েন্দা শাখার লোক পরিচয় প্রদানকারী লোকটি আমাকে বলে, আমরা কোন তদন্ত করতে আসলে থানা পুলিশ র‍্যাবের কোন অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তখন আমি তাদের সাথে কৌশল করে কথা বলার সময় নিকটস্থ থানায় ফোন দেওয়ার চেষ্টা করি। তারা আমার এই কার্যক্রম বুঝে ফেলে এবং তাদের প্রো বক্স গাড়িতে উঠে আদালত পারার উত্তর দিকে গাড়ি দ্রুত গতিতে টেনে চলে যায়। অতঃপর থেকে আজ পর্যন্ত উক্ত চক্রের সিন্ডিকেটটি আমাকে প্রতিনিয়ত ফলো করছে, কেউ মোটরসাইকেল যোগ, কেউ হেঁটে। আবার কেউ সিএনজি যোগে, তারা একজন একজনকে ইশারা ইঙ্গিতে মাধ্যমে আমাকে দেখাচ্ছে। উক্ত বিষয়ে আমি খুবই আতঙ্কিত অবস্থায় ভীতরে রয়েছি। উক্ত সিন্ডিকেট চক্রটি যেকোনো মুহূর্তে আমাকে ও প্রাণ ক্ষয়ক্ষতি করিবে, আমাকে গুম খুন হত্যা ও করিতে পারে বলে আমি সম্ভাব্য ধারণা করছি। তারা বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আমার সামনে যে চলাফেরা করছে। এই বিষয়ক আমি আবার পুনরায় কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানাতে একটি আমিও আমার পরিবারের সার্বিক আইনগত আত্মরক্ষা নিরাপত্তা সুরক্ষা কামনা করছি। তারা আমার পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে আমি যেখানেই যাচ্ছি যেই স্থানে যাচ্ছি তারা আমার পিছু পিছু ঘুরছে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে। এটা দেশদ্রোহীয় মানবাধিকার লঙ্ঘিত কাজ। অর্ধ ব্যক্তি বিশেষ রা আমাকে ও আমার পরিবারকে যে কোন মুহূর্তে যেকোনো সময় গুম খুন হত্যা করতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি। অতঃপর আমি কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানাতে অপারগ হয়ে পুনরায় অনলাইনে নিরাপত্তা ও ঝুঁকিজনিত ব্যাপার থেকে প্রতিকার প্রার্থী হিসেবে অন লাইনে সাধারন ডায়েরী করি।সাধারণ ডায়েরি / জি ডি নাম্বার-১৯১০, তারিখ- ২৭.০৪
২০২৪ ইং। উপরোক্ত সরকারি বিশেষ গোয়েন্দা শাখার লোক ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে যারা কিনা আমাকে পথে ঘাটে চলাচলের রাস্তায় প্রতিনিয়ত ফলোআপ করছে। আমার সম্ভাব্য ধারণা তাদের দ্বারা এবং উক্ত চক্র দ্বারা আমি এবং আমার পরিবারের বিরাট অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে। তাই আমি আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ বাংলাদেশ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাদের নিকট – আমি সহ আমার পরিবারের সকল সদস্যদের এই ধরনের চক্রান্ত মুলক হয়রানি থেকে রেহাই দিতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ শক্ত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

Leave a Reply