এবার চুন্নুকে পাল্টা জবাব দিলেন ব্যারিস্টার সুমন

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুকে পাল্টা জবাব দিলেন আইনজীবী ও সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (ব্যারিস্টার সুমন)। তিনি বলেছেন, চুন্নু সাহেব বিরোধীদল হয়েও সরকারী দলের বিরোধিতা না করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরোধিতা শুরু করেছেন। তাকে আমি বলবো, নিজের দায়িত্ব পালন করুন।

আজ বুধবার (৮ মে) সুপ্রিম কোর্টে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সংসদ সদস্যরা বেতন ও সরকারি বরাদ্দ কত পান, তা সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ করায় মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে নালিশ দেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।

আজ তার কড়া জবাব দিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল, এমপি হলে যেসব জিনিস প্রকাশিত হলে দেশ ও জাতির ভালো হয়, এগুলো আমি প্রকাশ করব। এমপি হওয়ার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার আমাকে যা যা দিয়েছেন, আমি সেগুলো জাতির কাছে প্রকাশ করেছি। আমি আগে জানতাম না, এমপিরা কত সম্মানী পান। এটা লুকানোর কিছু নাই। আমি মনে করি, এটা বললে স্বচ্ছতা পাওয়া যায়।

ফেসবুকে বেতনের কথা উল্লেখ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কত টাকা বরাদ্দ পেয়েছি, সেটাও জনগণকে জানিয়েছি। বরাদ্দ মানে তো নগদ টাকা না, আমরা ট্রাস্টি মাত্র। আমাকে সরকার বিশ্বাস করে সাধারণ মানুষের উপকারের জন্যে দিয়েছেন, আমি তাদের কাছে সেটি পৌঁছে দেবো। স্বচ্ছতার জন্যে বলেছি, আমি কত কত টাকা পেয়েছি। কিন্তু এটা চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু সাহেব আমাদের মাননীয় স্পিকারের কাছে নালিশ দিলেন।

ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, আমি সংসদে উত্তর দেয়ার সুযোগ পাইনি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, চুন্নু সাহেব বিরোধিতা করবেন সরকারী দলের কিন্তু সেখানে তিনি বিরোধিতা শুরু করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর। ওনার তো খুশি হওয়ার কথা, যে আমরা আমাদের হিসাব দেয়া শুরু করেছি। আমার খারাপ লাগছে, তার এলাকার মানুষের জন্যে। তাদের কি জানার অধিকার নেই, চুন্নু সাহেব এমপি হিসেবে কত টাকা পাচ্ছেন? উনি বলতে চান, আমরা যেন বরাদ্দের টাকা প্রকাশ না করি। আমি বুঝলাম না, আমরা যদি স্বচ্ছ থাকতে চাই, টাকার পরিমাণ বলি জনগণকে, তাহলে আমি অপরাধটা কী করলাম।

নিজের পেশা প্রসঙ্গে সুমন বলেন, এমপি কিন্তু আমার পেশা না। আমার পেশা হলো আইন পেশা। আমি কথা দিয়েছি, এমপি হিসেবে একটা পয়সা হারাম খাব না। সুতরাং রাষ্ট্রের যে টাকা বরাদ্দ হিসেবে আমার কাছে আসবে, তা আমি তুলে ধরব। এখন আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, আমার এই হিসেব দেয়াতে মুজিবুল হক চুন্নু সাহেবের হয়তো সমস্যা হচ্ছে। তার মনে হয় রাজনীতি করাটাই পেশা। এটা থেকেই তিনি সবকিছু নির্বাহ করেন কিনা, আমার জানা নেই। আলাদা কোনো পেশা থাকলে এটা নিয়ে চিন্তা করতেন না তিনি।

এর আগে, মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের সম্মানী ভাতা আর বরাদ্দের তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়েন।

ব্যারিস্টার সুমনের নাম প্রকাশ না করে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, আমাদের হাউজের একজন সংসদ সদস্য। নামটা বলতে চাই না, তিনি নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ফেসবুকে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আমরা সবাই ভুক্তভোগী।

Leave a Reply