ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুদানের অর্থের উৎস জানতে সাত দেশে চিঠি

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুদানের অর্থের উৎস জানতে যুক্তরাষ্ট্র কানাডা জাপানসহ বিশ্বের সাতটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। গ্রামীণ টেলিকমের তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে চলা অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান।

গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে জমা দেয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বছরের জুলাইয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

অভিযোগে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ অর্থ আত্মসাৎ, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধের সময় অবৈধভাবে আইনজীবী ফি ও অন্যান্য ফির নামে ছয় শতাংশ অর্থ কেটে নেয়া, তাদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করা ও কোম্পানি থেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানে সিরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। অভিযোগ আছে এই টাকা ড. ইউনূস ও তার সহযোগীদের নামে থাকা ব্যাংক একাউন্টে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে যেসব অভিযোগ পাওয়ার পর যদি মনে হয় যে এসব অভিযোগের যথেষ্ট উপাদান আছে, তখন আমরা অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করি। গ্রামীণ টেলিকমের ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে। আমরা সেসব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য বাছাই করেছি এবং সেগুলোর অনুসন্ধান কাজ চলছে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কে জড়িত বা জড়িত নয়, এগুলো আমাদের কাছে মুখ্য নয়। আমরা বস্তুনিষ্ঠভাবেই অভিযোগগুলোকে বিবেচনা করার চেষ্টা করছি। তবে দ্রুতই এ কাজটি শেষ হবে বলে আশা করি।

দুদক কমিশনার জানান, বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়েও তদন্ত দুদক তৎপর। দুদক টাকা পাচারের সুস্পষ্ট তথ্য পেলে তা দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে কমিশন।

এদিকে, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনুসের টাকা পাচারের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় তার কাছে আসা প্রায় ১০০ কোটি টাকার উৎস জানতে এরিমধ্যে ওমান, আমেরিকা, জাপান, কানাডা ও কাতারসহ সাতটি দেশের চিঠি পাঠিয়েছেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা।

Leave a Reply