দায়িত্ব তার ওপরেই বর্তায়, যিনি জেলা প্রশাসক থাকবেন: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেছেন, সব প্রকল্পের রিপোর্ট আপনাদের কাছ থেকে নেবো। অনেক মন্ত্রণালয় কাজ করবে। কিন্তু যখন যিনি জেলা প্রশাসক থাকবেন, সব দায়িত্ব তার ওপরেই বর্তায়। ভালো-মন্দের দায়িত্বও তাকে নিতে হবে। সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত যে কাজগুলো যথাযথভাবে হচ্ছে কি না, যথাযথ জায়গায় হচ্ছে কি না, যত্রতত্র যাতে না হয়। রাস্তা-ঘাট, পুল-ব্রিজ বা কোনও স্থাপনা, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা-মন্দির যা যা আমরা করি, সব পরিকল্পিতভাবে করা দরকার।
রবিবার (৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, আর্থিকভাবে দেশ কতটুকু স্বচ্ছল হবে, সেই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি কতটুকু হবে, সেটা বিবেচনা করেই প্রকল্প গ্রহণ। শুধু বড় বড় প্রকল্প আর টাকা অঙ্ক, সেই প্রকল্প আমি গহণ করি না। অনেক সময় যাদের কাছ থেকে ঋণ নিই, তারাও বড় প্রকল্প নিয়ে আসে। কিন্তু আমি সব সময় বিবেচনা করি দেশের জন্য কোনটা প্রয়োজন, তার থেকে মানুষ কতটা উপকৃত হবে, তার রিটার্ন কী আসবে।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় মন্ত্রণালয় থেকে, কিন্তু জেলা প্রশাসক হিসেবে, কমিশনার হিসেবে জমি দেওয়ার সময় আপনাদের কাছ থেকে নেয়। তাই জমি যদি আপনারা দেবেন, সব যখন আপনারা করবেন, তাহলে নজরদারি করবেন না কেন? কাজেই সব প্রকল্পে নজরদারি করার অধিকার আপনাদের আছে। সেটা আপনারা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু ব্যবসায়ী রমজান মাসে পণ্য মজুত করে দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটতে চায়। সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। আমাদের সব সময় লক্ষ রাখতে হবে বাজার পরিস্থিতির দিকে। কোথাও যেন ভোক্তাদের হয়রানি হতে না হয়। আমাদের দেশে পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে।
অতীত ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন সবচেয়ে সুষঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৃতপক্ষে যারা নির্বাচনই চায়নি, তাদের লক্ষ্য ছিল দেশে যেন কোনও নির্বাচন না হয়। অনির্বাচিত, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যাতে আবার সৃষ্টি না হয়, যা ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে দীর্ঘ ২১ বছর দেশের মানুষ কষ্ট ভোগ করেছে।
স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া পদক্ষেপ স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশে ফিরে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রথমবার সরকারে এসে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নেওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসায় সেই উন্নয়নের ধারা ধরে রাখেনি। একটা সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলে উন্নয়নটা টেকসই হয় না, দমশ্যমান হয় না—সেটাই প্রমাণিত সত্য।
২০০৮ সালে আবার ক্ষমতায় ফিরে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৩টি সিট পেয়েছি। বিএনপি জোট পেয়েছিল মাত্র ৩০টি সিট। জনগণের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা রয়েছে। যে কারণে আমরা প্রতিটি নির্বাচনি ইশতেহারে সাব কমিটির মাধ্যমে আলোচনা, সেমিনার করে সারা দেশ থেকে তথ্য নিয়ে জাতির পিতার নির্দেশনা মেনে তা ঘোষণা করি। প্রতিটি নির্বাচনে আমরা একটা প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রাখি। সেই নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন করেই দেশের উন্নয়নে কাজ করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়ে দিয়েছি। আমাদের যুব সমাজ দু-চারটা পরীক্ষা দিয়েই চাকরির জন্য ঘুরে বেড়ায়। আমরা তাদের উদ্বুদ্ধ করছি, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প করে দিয়েছি। যুবসমাজকে এসব কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। পাশাপাশি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং কোভিড অতিমারির প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়েছে। পৃথিবীতে এমন এমন দেশ রয়েছে, যেখানে এখন মুদ্রাস্ফীতি ৪০ শতাংশে রয়েছে। বাংলাদেশও এর থেকে দূরে নয়; যদিও বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি এখনও ১০ শতাংশের নিচে আছে। তারপরও এটা একটা সমস্যা রয়ে গেছে।
এ সময় আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সফলতার জন্য জেলা প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
দায়িত্ব তার ওপরেই বর্তায়, যিনি জেলা প্রশাসক থাকবেন: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেছেন, সব প্রকল্পের রিপোর্ট আপনাদের কাছ থেকে নেবো। অনেক মন্ত্রণালয় কাজ করবে। কিন্তু যখন যিনি জেলা প্রশাসক থাকবেন, সব দায়িত্ব তার ওপরেই বর্তায়। ভালো-মন্দের দায়িত্বও তাকে নিতে হবে। সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত যে কাজগুলো যথাযথভাবে হচ্ছে কি না, যথাযথ জায়গায় হচ্ছে কি না, যত্রতত্র যাতে না হয়। রাস্তা-ঘাট, পুল-ব্রিজ বা কোনও স্থাপনা, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা-মন্দির যা যা আমরা করি, সব পরিকল্পিতভাবে করা দরকার।
রবিবার (৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, আর্থিকভাবে দেশ কতটুকু স্বচ্ছল হবে, সেই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি কতটুকু হবে, সেটা বিবেচনা করেই প্রকল্প গ্রহণ। শুধু বড় বড় প্রকল্প আর টাকা অঙ্ক, সেই প্রকল্প আমি গহণ করি না। অনেক সময় যাদের কাছ থেকে ঋণ নিই, তারাও বড় প্রকল্প নিয়ে আসে। কিন্তু আমি সব সময় বিবেচনা করি দেশের জন্য কোনটা প্রয়োজন, তার থেকে মানুষ কতটা উপকৃত হবে, তার রিটার্ন কী আসবে।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় মন্ত্রণালয় থেকে, কিন্তু জেলা প্রশাসক হিসেবে, কমিশনার হিসেবে জমি দেওয়ার সময় আপনাদের কাছ থেকে নেয়। তাই জমি যদি আপনারা দেবেন, সব যখন আপনারা করবেন, তাহলে নজরদারি করবেন না কেন? কাজেই সব প্রকল্পে নজরদারি করার অধিকার আপনাদের আছে। সেটা আপনারা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু ব্যবসায়ী রমজান মাসে পণ্য মজুত করে দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটতে চায়। সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। আমাদের সব সময় লক্ষ রাখতে হবে বাজার পরিস্থিতির দিকে। কোথাও যেন ভোক্তাদের হয়রানি হতে না হয়। আমাদের দেশে পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে।
অতীত ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন সবচেয়ে সুষঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৃতপক্ষে যারা নির্বাচনই চায়নি, তাদের লক্ষ্য ছিল দেশে যেন কোনও নির্বাচন না হয়। অনির্বাচিত, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যাতে আবার সৃষ্টি না হয়, যা ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে দীর্ঘ ২১ বছর দেশের মানুষ কষ্ট ভোগ করেছে।
স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া পদক্ষেপ স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশে ফিরে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রথমবার সরকারে এসে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নেওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসায় সেই উন্নয়নের ধারা ধরে রাখেনি। একটা সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলে উন্নয়নটা টেকসই হয় না, দমশ্যমান হয় না—সেটাই প্রমাণিত সত্য।
২০০৮ সালে আবার ক্ষমতায় ফিরে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৩টি সিট পেয়েছি। বিএনপি জোট পেয়েছিল মাত্র ৩০টি সিট। জনগণের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা রয়েছে। যে কারণে আমরা প্রতিটি নির্বাচনি ইশতেহারে সাব কমিটির মাধ্যমে আলোচনা, সেমিনার করে সারা দেশ থেকে তথ্য নিয়ে জাতির পিতার নির্দেশনা মেনে তা ঘোষণা করি। প্রতিটি নির্বাচনে আমরা একটা প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রাখি। সেই নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন করেই দেশের উন্নয়নে কাজ করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়ে দিয়েছি। আমাদের যুব সমাজ দু-চারটা পরীক্ষা দিয়েই চাকরির জন্য ঘুরে বেড়ায়। আমরা তাদের উদ্বুদ্ধ করছি, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প করে দিয়েছি। যুবসমাজকে এসব কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। পাশাপাশি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং কোভিড অতিমারির প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়েছে। পৃথিবীতে এমন এমন দেশ রয়েছে, যেখানে এখন মুদ্রাস্ফীতি ৪০ শতাংশে রয়েছে। বাংলাদেশও এর থেকে দূরে নয়; যদিও বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি এখনও ১০ শতাংশের নিচে আছে। তারপরও এটা একটা সমস্যা রয়ে গেছে।
এ সময় আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সফলতার জন্য জেলা প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

Leave a Reply