নির্বাচনে শেখ হাসিনার কড়া হুঁশিয়ারি

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চান আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বার্তাটি তিনি দেশে বিদেশে বারবার দিয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদেরকেও অবিরত দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তার এই বার্তা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কতটা গ্রহণ করেছে তা নিয়ে এখন সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ আবার সুস্পষ্ট ভাবে নির্বাচনের ব্যাপারে সারাদেশের নেতাকর্মীদের কড়া সতর্কবার্তা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। ভোটে নৌকা, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলও আছে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। নির্বাচনে কোনো সংঘর্ষ-মারামারি দেখতে চাই না। দলের কেউ সংঘাত করলে তার রেহাই নেই, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় করতে না পারলে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে উল্লেখ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ করে কেউ যেন মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ভোট নিয়ে যাতে কোনো সংঘাত না হয়, জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। দলের নেতাকর্মী যেই হোক এর কোনো ব্যত্যয় হলে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। এখানে কিন্তু কোনা রকম মারামারি-সংঘাত আমি দেখতে চাই না।

উল্লেখ্য, আজ বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলা, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন।

এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা/থানা/পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাসমূহের মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply