সন্দেহভাজন ২ যুবক আটক ঢাকা মেডিকেলে

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত এক যুবকসহ দুজনকে ঢাকা মেডিকেলের ভেতর থেকে আটক করেছে র‌্যাবের সদস্যরা। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক হওয়া সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত ওই যুবকের নাম রেদওয়ান (১৭) ও অপরজনের নাম মশিউর হোসেন (২৫) বলে জানা গেছে। তারা সহোদর। তাদের বাড়ি নেত্রকোনার বারোহাট্টা উপজেলার চিরাম নৈহাটি গ্রামে। বাবার নাম মোশারফ হোসেন।
র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, বিকেলে রেদোয়ান নামে ওই কিশোর সেনাবাহিনীর পোশাক এবং ক্যাপ পড়ে জরুরি বিভাগে ঘোরাফেরা করছিলো। তবে তার পরনে সেনাবাহিনীর ওই পোশাকটি মূলত মিশনে গিয়ে পরিধান করা হয়। বিষয়টি জরুরি বিভাগে ডিউটিরত র‌্যাব সদর দপ্তরের এক সদস্যের নজরে পড়লে তিনি ওই কিশোরকে ডেকে তার পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। এতে সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে পারেনি ওই কিশোর। উল্টো উত্তেজিত হয়ে ওই র‌্যাব সদসের নাম পরিচয় জিজ্ঞেস করে এবং তার পরিচয় পত্র দেখতে চায়। তখন বিষয়টি সন্দেহ হলে র‌্যাব সদস্য তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ওই কিশোর ও তার সঙ্গে থাকা অপর যুবককে আটক করে হাসপাতালটির পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায়, সেনাবাহিনী পোশাকটি তার অবসরপ্রাপ্ত খালু তাকে দিয়েছে। তবে সে সেনাবাহিনীর রিক্রুট সদস্য পদে মনোনীত হয়েছে। আগামী মাসে তার ট্রেনিং এ যাওয়ার কথা, এমন দাবি করে।
পরবর্তীতে র‌্যাবের কর্মকর্তারা হাসপাতালে এসে ওই কিশোর এবং তার সঙ্গে থাকা তার বড় ভাইকে আটক করে তাদের কার্যালয় নিয়ে যান। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি জিক্সার এসএফ মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। মোটরসাইকেলটির সামনে সেনাবাহিনীর লোগো লাগানো রয়েছে। এছাড়া একটি ইউটিউব চ্যানেলের নাম লেখা আছে।
হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, র‌্যাব হেডকোয়ার্টারের এক সদস্য ওই দুজনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে এসেছিলেন। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই দুজনকে তাদের কার্যালয় নিয়ে যান। ঘটনাটি তারাই তদন্ত করে দেখছেন।
আটক হওয়া ওই কিশোর মিরপুর-১ নম্বর সেকশনে থাকে। দারুসসালাম সিদ্ধান্ত হাই স্কুল থেকে ২০২২ সালে এসএসসি পাশ করেছে বলে জানিয়েছে সে। আর তার বড় ভাই মশিউর সরকারি তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র বলে জানা গেছে।

Leave a Reply