২৭ বৎসর পর রুহুল আমিন হত্যার বিচারের রায়ের দিন ধার্য করল আদালত

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লায় ২৭ বৎসর পর রুহল আমিন (দুই হাত পঙ্গু) কে নৃশংস ভাবে হত্যার বিচারের রায়ের দিন ধার্য করেছেন বিচার আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত এর বিচারক মরিয়ম মুন মঞ্জুরি আগামী ০২/১১/২০২৩ইং তারিখ বিচারের রায়ের দিন ধার্য করে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত এর পাবলিক প্রসিকি্উটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ড. মোবারক হোসেন।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন, কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন বুধইর গ্রামের দোনার বাড়ির মৃত সুরুজ মিয়ার পুত্র সন্তান, কন্যা, ছেলের স্ত্রী আকবর খান, আমির খান, আসলাম খান, আবু তাহের খান, আবুল বাসার খান, শাহের বানু, রেহেনা বেগম, মোর্শেদা বেগম, পেয়ারা বেগম পেরু।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, অভিযুক্তরা বিগত ১৭/০৩/৯৬ইং তারিখ  একই গ্রামের বাসিন্দা বজলুর রহমান এর মালিকীয় ও ভোগ দখলীয় জমি হইতে জোর পূর্বক মাটি কাটিয়া নিতে গেলে তাহার ছেলে রুহুল আমিন(দুই হাত পঙ্গু) ও খোরশেদ আলম তাদের জমি হইতে মাটি কাটা নিষেধ করিলে অভিযুক্তরা দা, ছেনি, কোদাল ইত্যাদি দিয়া বজলুর রহমানের দুই ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংস ভাবে কোপাইয়া রুহুল আমিন রক্তাক্ত জখম করিয়া রুহুল আমিনকে মৃত প্রায় অবস্থায় ফেলিয়া পালাইয়া যায়। ঘটনার ভিকটিম খোরশেদ আলম ও রুহুল আমিনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়া গেলে একই দিনে ভিকটিম রুহুল আমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। উক্ত ঘটনার মামলার বিচার কাজ চলাকালে, পুত্রের হত্যাকারীদের বিচার না দেখেই মৃত্যু বরণ করেন মামলার বাদী বজলুর রহমান। বর্তমানে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করার পর গত ২৬/০৯/২০২৩ইং তারিখ মামলার যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত। মৃত বজলুর রহমানের ছেলে খোরশেদ জানায়, বিচারের মামলা নং-৯৬/২০০৩ মামলায় প্রত্যক্ষ্যদর্শী ৬ জন সাক্ষীসহ মোট ১১ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য উপস্থাপন করিয়াছে।

ঘটনার ভিকটিম মৃত রুহুল আমিনের একমাত্র কন্যা তাহার পিতার হত্যাকারীদের ন্যায় বিচার দেখতে দীর্ঘ ২৭ বৎসর যাবৎ আদালতে দিকে তাকিয়ে আছে।  মৃত রুহুল আমিনের মাতা পুত্রহারা শোকে আহাজারি ও আদালতের নিকট ন্যায় বিচার দাবি করিতেছে।

এদিকে এলাকাবাসী জানায়, আইনের ফাঁক ফোঁকরে যদি আসামীরা পাড় পেয়ে যায়, তাহলে আসামীরা সমাজে আরও বেপরোয়া  ভাবে খুন, রাহাজানি, অত্যাচার, নিপীড়ন করিবে বলিয়া আশঙ্কা করিতেছে। আসামীরা অভ্যাসগত ভাবেই বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। তাই এলাকাবাসীরাও রুহুল আমিন এর হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করিতেছে।

 

 

Leave a Reply