যানজট ও অপরাধ দমনে কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশের নতুন মাত্রা

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লা মহানগরীর চিরচেনা দৃশ্য ছিল যানজট এবং অসংলগ্ন যানবাহন চলাচল। কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশের নিরলস প্রচেষ্টায় সম্প্রতি এই চিত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। যানজট নিরসনের পাশাপাশি মাদক, অস্ত্র এবং কিশোর অপরাধ দমনে তারা অবিচল রয়েছেন। এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছেন জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়াউল চৌধুরী টিপুর দূরদর্শী নেতৃত্ব।
কুমিল্লা বারের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট সলিমুল্লাহ খান বলেন, “জিয়াউল চৌধুরী টিপুর যোগদানের পর থেকে কুমিল্লা জেলার চিত্র পাল্টে গেছে। তার উদ্যোগে ট্রাফিক পুলিশের জন্য ‘পুলিশ বক্স’ স্থাপন করা হয়েছে এবং যানবাহনের মালিক-শ্রমিকদের সাথে নিয়মিত সচেতনতা মূলক মিটিং আয়োজন করা হচ্ছে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের এই উদ্যোগে কুমিল্লার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সুশৃঙ্খল একটি জেলা পেয়ে আনন্দিত। স্বাধীনতার পর এমন সুশৃঙ্খল পরিবেশ প্রথমবারের মতো উপভোগ করছেন তারা।
জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়াউল চৌধুরী টিপু বলেন, “জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় আমরা রাতদিন কাজ করছি। যানজট কমানো এবং অপরাধ দমনে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
গত ১৮ মাসে কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশ ১২ হাজার ৪৪০ টি মামলায় ৪ কোটি ২১ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করেছেন।
এই অভিনব উদ্যোগের ফলে কুমিল্লা জেলার মানুষ এখন আরও নিরাপদ এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশে বাস করছেন। ট্রাফিক পুলিশের এই নিরলস প্রচেষ্টা শুধু যানজট নিরসনেই নয়, অপরাধ দমনেও এক অনন্য সাফল্য বয়ে আনছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অপরাধ দমনে কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশের এই উদ্যোগ অন্যান্য জেলার জন্যও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ট্রাফিক পুলিশের এই কাজের প্রশংসায় কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, “আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যে নিরলস পরিশ্রম করছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাদের এই উদ্যোগ অন্যান্য জেলার জন্যও অনুপ্রেরণা।
কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশের এই সফলতা একটি সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ সমাজ গঠনের পথ দেখাচ্ছে।
পবিত্র রমজান মাসে কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশ নগরীকে যানজট মুক্ত রাখার জন্য বড় (বুস্টার) অটোরিকশা ও অবৈধ সিএনজি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।
ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করার লক্ষেও নিরলস কাজ করছেন জেলা ট্রাফিক পুলিশ। এই পদক্ষেপ নগরীর যানজট কমানোর পাশাপাশি রমজানের সময়ে জনসাধারণের ইবাদতের সুবিধার্থে করা হয়েছে।
সারাদিন রোজা রেখেও ট্রাফিক পুলিশের প্রতিটি সদস্য ইফতারের সময় মাত্র এক গ্লাস পানি পান করে আবারও ডিউটিতে নেমে পড়েন। এই নিষ্ঠার সাথে কাজ করার মানসিকতা নগরীর যানজট এবং অপরাধ দমনে ট্রাফিক পুলিশের সফলতার একটি বড় কারণ।
কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশের এই অভিনব পদক্ষেপ নগরীর জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং অন্যান্য জেলার জন্যও অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে। এই উদ্যোগ যেন অব্যাহত থাকে এবং আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়, সেই প্রত্যাশা রাখেন কুমিল্লা বাসী।

Leave a Reply