যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বার্থে মানবাধিকার ইস্যু ব্যবহার করে

যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শত শত ঘটনা থাকা স্বত্বেও তারা তাদের স্বার্থে মানবাধিকার ইস্যুকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। আবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ভেতর থেকে দুর্বল। তারা বিভিন্ন সময় মার্কিনীদের কাছে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায়। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে খবরদারি করার সুযোগ পায়।

শনিবার একাত্তর টিভিতে সম্প্রচারিত এবং এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ‘মার্কিনীদের বাংলাদেশ রাজনীতি: ১৯৭১ থেকে ২০২২’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠকের আলোচনায় এসব কথা উঠেছে। বৈঠকে অংশ নিয়ে বিশিষ্টজনেরা বলেন, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারলে এসব খবরদারি বন্ধ হবে।

এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবুর সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং শিক্ষাবিদরা বলেন, মানবাধিকার ইস্যুটি যুক্তরাষ্ট্রের এক ধরনের আধিপত্যের হাতিয়ার। এই হাতিয়ার তারা তাদের স্বার্থে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যবহার করে। বাংলাদেশেও র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থে ব্যবহার করছে বলে মত দেন আলোচকরা।

আলোচকরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের বিশ্বের প্রধান শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে মনে করে। তাই তারা তাদের স্বার্থ অনুযায়ী অন্য দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।

মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাজনীতি করার চেষ্টা করে উল্লেখ করে তারা বলেন, নিজের দেশে নানা ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা থাকা শর্তেও নিজের স্বার্থে মানবাধিকার ইস্যুকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র।

রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বল ভিত্তির কাড়নে বাইরের এসব শক্তি এধরনের কর্মকাণ্ড করতে পারে বলে মত অনেকের। তাদের বক্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব সময় অর্থনৈতিক লাভের রাজনীতি করে, তাই তাদের সাথে দরকষাকষি হওয়া উচিত বাংলাদেশের মৌল পররাষ্ট্রনীতি সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথ শত্রুতা নয়- এমন নীতির ওপর।

গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মার্কিন সরকার বাংলাদেশের বিপক্ষে থাকলেও জনগণ বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। ভূ-রাজনৈতিক কারণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিশেষ আগ্রহের জায়গায় আছে, তাই বাংলাদেশের স্বার্থকে সবার আগে প্রাধান্য দিয়ে সরকারকে তার নীতি ঠিক করতে হবে।

Leave a Reply