খুনের দায়ে এক সেনা সদস্যের সাজা যাবজ্জীবন, তারপরেও ভোগ করছেন পেনশন ভাতাদি

বাংলা নিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লায় খুনের দায়ে এক সেনা সদস্যের (বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত) যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালত।

বিগত ২৬/১০/২০২৩ইং তারিখ কুমিল্লায় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক মোসাঃ মরিয়ম মুন মঞ্জুরী সেনা সদস্য ল্যাঃ নায়েক (অবঃ) মোঃ আসলাম খান, সেনা সদস্য নং- ৩৯৮৮২২৬, পিতাঃ মৃত সুরুজ মিয়া, গ্রামঃ বুধইর, থানাঃ কোতয়ালী মডেল, জেলাঃ কুমিল্লা এর বিরুদ্ধে খুনের অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় যাবজ্জীবন সাজা ও ৫,০০০/- টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করে এ রায় প্রদান করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিগত ১৭/০৩/৯৬ইং তারিখ পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া সেনা সদস্যের  গ্রামেরই বাসিন্দা মৃত বজলুর রহমান এর ছেলে ভিকটিম রুহুল আমিন(দুই হাত পঙ্গু) কে সাজাপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সহ তাহার অন্যান্য ভাইসকল দা, ছেনি, কোদাল দিয়া নৃশংস ভাবে কোপাইয়া হত্যা করে।এই হত্যা মামলা দায়রাঃ  ৯৬/২০০৩ইং ধারাঃ ৩০২/৩২৪/৩৪ দঃ বিঃ  বিচার শেষে ঘটনার ২৭ বছর পর এই রায় প্রদান করা হয়।

ঘটনার সময়কালে সাজাপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ৪১, ইষ্ট বেঙ্গল, পানছড়ি আর্মি ক্যাম্পে চাকুরিরত থাকাবস্থায় ছুটিতে বাড়িতে আসিয়া এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত হয় বলে জানা যায়। এই ব্যাপারে ভিকটিমের ছোট ভাই তৎকালে সুবিচার চাহিয়া সেনা সদস্যের সংশ্লিষ্ট ইউনিটে অভিযোগ দায়ের করিলেও, অপরাধীকে চাকুরিচ্যুত না করিয়া চাকুরি বলবৎ রাখে এবং বর্তমানে যথারীতি অবসরে আসিয়া পেনশনসহ সকল ভাতাদি ভোগ করিয়া আসিতেছে।একজন সেনা সদস্য খুনের মতো অপরাধ সংঘটিত করিয়া ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার পরও কিভাবে সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করিতেছে, উক্ত ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের আশা ব্যক্ত করে এলাকার জনগণ।

এই নৃশংস হত্যা কান্ডটি বেশ আলোচিত হলেও আদালত প্রধান আসামীদেরকে খালাস দিয়া শুধুমাত্র উক্ত সেনা সদ্স্যকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন।

Leave a Reply